ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসকরা প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়ার কথা বলে থাকেন। প্রতিটি ফলেরই কিছু না কিছু গুণ আছে। কলা এমন একটা ফল যা খেলে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয়।
কলায় রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। এ উপাদান একত্রে মিলে শরীরকে শক্তি দেয়। ফলে দ্রুত কেটে যায় ক্লান্তি।
গবেষণায় দেখা গেছে, কলা খাওয়ার পর চটজলদি শরীর এনার্জি পায়। ফলে কমে শক্তির ঘাটতি। অকারণ চিন্তা না করে আজ থেকেই ডায়েটে কলাকে জায়গা করে দিন। এছাড়া কলা খেলে আরও উপকার মিলবে, চলুন তা জানি-
কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে। পেটে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূরে রাখে। এমনকি আমাশয়ে ভুগলেও আপনি কলা খেতে পারেন।
কলা ফাইটোকেমশিয়াল ফ্রুক্টো-অলিগোস্যাকারাইড সরবরাহ করে, যা আমাদের কোলনে ভালো ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন : রোজ সকালে খান কারিপাতা, মিলবে যেসব উপকারিতা
তাছাড়া খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং শরীরে জমা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
কলার মধ্যে ট্রিপটোফেন রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়। এই সেরোটোনিন হরমোন মনকে শিথিল করতে এবং মেজাজকে উন্নত করতে সাহায্য করে। উদ্বেগ, বিষণ্নতা কমাতে কলা দারুণ উপযোগী।
কলার মধ্যে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ (আরএস) রয়েছে, যা মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এই রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় এবং দেহে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শোষণের মাত্রা বাড়ায়।
কলার মধ্যে ম্যাগনেশিয়াল, পটাশিয়াম এবং ট্রিপটোফেনের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো ঘুমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া কলা মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ঘুমের হরমোন নামে পরিচিত।
কলার মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা স্নায়ুর ক্রিয়াকলাপের জন্য জরুরি। স্নায়ুর চাপ কমিয়ে রক্তচাপ কম কমাতে সাহায্য করে কলা। পাশাপাশি কলা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
এস/এসি
খবরটি শেয়ার করুন