ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ৬৫টি তৈরি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২২শে মে) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর। এর আগে রাত ৯টায় বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব।
লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ৮ থেকে ১০ দিন আগেই খবর পেয়েছি ওই বাড়িতে বোমা তৈরি হয়। জঙ্গিদের কাট আউট সিস্টেমে (ইমেডিয়েট বস সম্পর্কে জানা যায়, এর ওপরে কে আছে জানতে পারে না) বোমা তৈরি করে। তবে ২-৩ দিন আগেই অভিযান চালিয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন : বগুড়ার আরেক হিমাগারে মিলল ২ লাখ ডিম, ম্যানেজারকে জরিমানা ৩০ হাজার
র্যাবের অধিনায়ক আরও জানান, আটককৃতরা হলেন ফাহিম, লিমন ও আকুল। তারা সবাই জুতার কারখানায় কাজ করেন। বোমা তৈরির জন্য সজীব নামে একজনের মাধ্যমে ২৬ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের কন্ট্রাক্ট করা হয়। অনাবিল বাসে করে আজ রাতেই বোমাগুলো গাজীপুর পাঠানো হতো। সজীবের কাছে শুধু তথ্য ছিল এই বোমাগুলো মাছুম নামে একজন সংগ্রহ করবে। মাছুমই ক্রেতা ঠিক করে দেয়। এর আগেও ডেমরা, সাভার ও বাড্ডায় বোমা তৈরির চেষ্টা করেছিল সজীব। এসব বোমা তারা সারা দেশে সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, বোমার গঠন, আকার, ওজন বিবেচনা করে বোম ডিস্পোজাল ইউনিট বুঝতে পেরেছে এগুলো ককটেলের মতো নয়। এসব বোমা অনেক শক্তিশালী। ট্রিগার মেকানিজমের বোমা এগুলো। হাওয়াতেই ব্লাস্ট করা সম্ভব। প্রায় ৩০ মিটার জায়গায় প্রভাব বিস্তার করতে পারতো এগুলো, যা অত্যন্ত বিপদজনক।
মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলা নির্বাচন, ঈদ ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। সজীবকে খুঁজে বের করা হবে। এছাড়া বাড়ির মালিককে খোঁজা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা।
এস/ আই.কে.জে