বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী *** ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ‘বর্ণবাদের দুর্গন্ধ’ *** আগামীকাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন জোবাইদা রহমান *** তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার *** ৭ দিন নীরবতার পর ইমরানের টুইট, ভেঙে দিলেন দলের রাজনৈতিক কমিটি *** তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দৃশ্যমান দ্বিধা ও অদৃশ্য বাধা *** আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা *** খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন ১৪ জন, থাকবেন পুত্রবধূ শামিলা, ছয় চিকিৎসক *** অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল *** দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি

স্বামীর পরকীয়া ঠেকাতে নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে নাতির স্কুল ফির ১০ লাখ টাকা খরচ দাদির

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১১ পূর্বাহ্ন, ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

চীনে ৫৮ বছর বয়সী এক নারী স্বামীকে পরকীয়া থেকে বিরত রাখতে নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে নাতির স্কুল ফির ৬২ হাজার ইউয়ান খরচ করে ফেলেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকার বেশি। তবে তারপরও খুব একটা লাভ হয়নি।

হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, স্বামীকে পরকীয়া থেকে বিরত রাখতে নিজের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে চিকিৎসায় খরচ করেছেন ৬২ হাজার ইউয়ান বা ৮ হাজার ৬০০ আমেরিকান ডলার।

মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের ওই নারীর নাম চুই। গত ১১ই আগস্ট নিজ আবাসিক এলাকার একটি থেরাপি সেন্টারে যান। সেন্টারের মালিক ও আরও একজন গ্রাহক চুইকে পাশের একটি প্লাস্টিক সার্জারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় সৌন্দর্যবর্ধক চিকিৎসা নেওয়ার।

ক্লিনিকের সার্জন চুইকে বলেন, তার মুখের ত্বকে অনেক বেশি ভাঁজ রয়েছে, যা তার জীবনে অশুভ প্রভাব ফেলছে। চুইকে জানানো হয়, চোখের কোণের ভাঁজ (ক্রোজ ফিট) মানে তার স্বামী প্রতারণা করছেন। এসব ভাজ মুছে ফেললে স্বামীর ‘পিচ ব্লসম লাক’ বন্ধ হবে। চীনা সংস্কৃতিতে ‘পিচ ব্লসম লাক’ বলতে প্রেমঘটিত ভাগ্য বা রোমান্টিক সম্পর্কের ভাগ্যকে বোঝায়।

এ ছাড়া কপালের ভ্রু কুঁচকানো ভাঁজ নাকি তার সন্তানদের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। চিকিৎসকেরা আরও বলেন, তার নাক খুব চ্যাপ্টা, যা তার সম্পদ অর্জনের ভাগ্য আটকে দিচ্ছে। চুই জানান, এসব কথাবার্তা ভেবে দেখার সময়ও পাননি।

কারণ, সেন্টারের কর্মীরা আগেই তার ফোন নিয়ে নেন। সেবার ফি পেমেন্ট করার সময় তাকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে শুধু পাসওয়ার্ড লিখতে বলা হয়। বুঝে ওঠার আগেই তিনি ক্লিনিককে ৬২ হাজার ইউয়ান দিয়ে ফেলেন।

চুই বলেন, এ টাকা ছিল তার সব সঞ্চয়। এর মধ্যে ছিল নাতির টিউশন ফির টাকা, যা তিনি অনেক দিন ধরে জমাচ্ছিলেন। ক্লিনিকের কর্মীরা তার মুখ ও গলায় হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ইনজেকশন দেন। তার চিকিৎসাসংক্রান্ত নথি থেকে দেখা গেছে, ওই একবারের চিকিৎসায় তিনি ১০টিরও বেশি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

চিকিৎসার পরদিন সন্ধ্যায় চুই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। তিনি মুখ খুলে কিছু খেতেও পারছিলেন না এবং মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভব করছিলেন। চুইয়ের মেয়ে জানান, ক্লিনিক তার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং টাকা ফেরতের দাবি জানান তিনি। তবে ক্লিনিকের এক বেনামি কর্মী অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, চাইলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

জে.এস/

পরকীয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250