ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই মাঝে মাঝে ভাবেন নিজেকে একটু বদলানো প্রয়োজন। তবে আমরা বদলাতে চাই কেন? উত্তরটা সহজ—নিজের মন্দ দিকগুলো যতটা সম্ভব কমাতে চাই বলে। তবে হুট করেই কি নিজেকে বদলে ফেলা যায়? সকালে ঘুম ভেঙেই কি নিজেকে বদলে ফেলতে পারবেন? কেবল মনে মনে পরিবর্তন চাইলে কখনই নিজেকে বদলে ফেলা যাবে না। একটু সময় নিয়ে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ালেই কিন্তু জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তাই নিজেকে বদলে ফেলুন মাত্র ছয় মাসে। চলুন জেনে নিই কিছু পরামর্শ -
যা পরিবর্তন করতে চান তা নির্ধারণ করুন
মনে করুন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আপনি প্রতিদিন সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠবেন। তাহলে একটি কাগজে তা লিখে প্রতিদিন চোখে পড়ে এমন জায়গায় সাঁটিয়ে রাখুন। হুট করে কাল সকালেই আপনি ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। আর উঠলেও পরশু দিন আগ্রহটা চলে যেতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে কী কী করবেন, তা ঠিক করুন। হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। বই কিংবা পত্রিকায় চোখ বোলানোর অভ্যাস করতে পারেন। সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারেন। গাছপালা কিংবা পোষা প্রাণীর যত্ন নিতে পারেন।
আরো পড়ুন : দিনে সর্বোচ্চ কয়টা আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
সারা দিন গুছিয়ে নিন
জীবনের একটি বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাইলে আপনার পুরো দিনকেই সেভাবে সাজাতে হবে। আপনি হয়তো সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, কিন্তু সারা দিন কোনো রকম হাঁটাচলা না করেই পার করে দেন। এমনটা করবেন না, একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
ইতিবাচক মনের মানুষদের খুঁজে বের করুন
একা একা নিজেকে পরিবর্তন করা বেশ কঠিন কাজ। সমমনা মনের মানুষ বা বন্ধুদের খুঁজে বের করুন। তাদের সহায়তা নিন। যারা নেতিবাচক কথা বলে, তাদের এড়িয়ে চলুন।
যেখানে আগ্রহ, সেখানে সময় দিন
যে কাজ করতে ভালো লাগে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগত মান উন্নয়নে সময় দিন। কীভাবে প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন নিজেকে ১ ভাগ করে ছাপিয়ে গেলে ছয় মাস পর নিজের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
শিখুন
প্রতিদিন চারপাশ থেকে কিছু না কিছু শিখুন। নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে কখনই ছোট ভাববেন না। ছোট-বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। পুরোনোকে নতুন করে শেখার মাধ্যমে নিজেকে ইতিবাচক কাজে ব্যস্ত রাখুন।
ভুল খতিয়ে দেখুন
কাজে ভালো করতে চাই চর্চা। স্মৃতির সহায়তাও লাগে। আর কাজ করতে গিয়ে নানা রকমের ভুল কেন হয়, তা খতিয়ে দেখার মাধ্যমেও অনেক কিছু শেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক এ তথ্য জানিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল সায়েন্স এক্সপ্রেস সাময়িকীতে। গবেষণাটি করেছেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ভুলগুলো মানুষের মস্তিষ্ককে কোনো কাজ আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করার প্রশিক্ষণ দেয়। পাশাপাশি ভুল থেকে কীভাবে দ্রুত শিক্ষা নেওয়া যায়, মস্তিষ্ক সেটাও শিখে নেয়। তাই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি সাধারণত কম হয়।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
এস/ আই.কে.জে/