ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত বিনাচিনাবাদাম-৬ একটি উচ্চ ফলনশীল চিনাবাদামের জাত। এ জাতের চিনাবাদাম হেক্টরে সর্বোচ্চ ২ টন ৯শ’ কেজি ফলন দিতে সক্ষম। কিন্তু গোপালগঞ্জে এ বিনাচিনাবাদাম ২ টন ৯শ’৫৮ কেজি ফলন দিয়েছে। এটি বিনাচিনাবাদাম-৬ জাতের রেকর্ড পরিমাণ ফলন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামের কৃষক সাইফুল আলম খান বিনাচিনাবাদাম চাষ করে ২ টন ৯শ’ ৫৮ কেজি ফলন পেয়েছেন।
কৃষক সাইফুল আলম খান বলেন, আমি গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে আমার ১শ’ ৫০ শতাংশ জমিতে বাদামের আবাদ করি। প্রতি শতাংশে আমি এ জাতের বাদাম ১২ কেজি ফলন পেয়েছি। সে হিসাবে ২৪৬.৫১ শতাংশের ১ হেক্টরে এ বাদাম ফলন দিয়েছে ২ টন ৯শ’ ৫৮.১২ কেজি। এটি রেকর্ড ফলন বলে মন্তব্য করেন ওই কৃষক।
সাইফুল আলম খান আরো বলেন, আমার দেড় একর জমিতে বাদাম আবাদে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এখান থেকে আমি ১ হাজার ৮শ’ কেজি বাদাম পেয়েছি। প্রতি কেজি বাদাম ১শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে পারব। উৎপাদিত বাদাম ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। খরচ বাদে লাভ হবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা । ধান ও পাটের তুলনায় বাদামে লাভ অনেক বেশি। বাদামের পর আমি বিনা আমন ধান করব।
আমন কেটে স্বল্পজীবনকাল সম্পন্ন বিনা সারিষা চাষ করে আসছি। বিনার শস্য বিন্যাস অনুসরণ করে আমি প্রতি বছর একই জমিতে ৩টি ফসল করতে পারছি। এতে আমার আয় বেড়েছে। আর্থসমাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পেরেছি।
একই গ্রামের বাদাম চাষী প্রহল্লাদ বিশ্বাস বলেন, আমাদের গ্রামে অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষ করেন। আমরা লাভজনক বিনাচিনাবাদ-৬ আবাদ করতে চাই। কিন্তু বিনা আমাদের বীজ দিতে পারে না। তাই এ জাতের বাদামের আবাদ আমরা সম্প্রসারণ করতে পারছি না। তিনি বীজ প্রাপ্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
আরো পড়ুন: এক কেজি আমের দাম ৩ লাখ টাকা
এসি/ আই.কে.জে/