বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব পরিস্থিতিতে জামাতে নামাজ না পড়ার সুযোগ আছে

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, ২৮শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

হাদিসে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। স্বয়ং রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ অবস্থায় অন্যের কাঁধে ভর করে জামাতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

যেসব অপারগতা ও অসুবিধার কারণে ইসলামি শরিয়ত জামাতে নামাজ না পড়ার অনুমতি দেয়, তা এখানে আলোচনা করা হলো। এসব অপারগতা না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মস্তিষ্কের সব পুরুষের জন্য মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

১. মুষলধারে বৃষ্টি হলে এবং মসজিদে যেতে অসুবিধা হলে। (বুখারি হাদিস ১১২৬)

২. বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা, ঘর থেকে বের হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকলে। (বুখারি ৬২৬)

৩. রাস্তায় বেশি কাদা হলে এবং চলাচল করতে অসুবিধা হলে। (বদরুল মুনির ৪ / ৪১৯)

৪. মসজিদের পথ রাতের বেলায় ঘুটঘুটে আঁধারে ঢাকা থাকলে এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলে। (জমউল জাওয়ামে ১ / ৩০৫৮)

৫. অসুস্থ হলে এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হলে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৬৪)

৬. মহামারি কবলিত এলাকায় না যাওয়ার কথাও হাদিসে এসেছে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় মহামারি দেখা দিলে মসজিদে না যাওয়ার সুযোগ আছে। (তিরমিজি ১০৬৫, বুখারি ৫৭২৯)

৭. দৃষ্টিহীন মানুষের জন্যও মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। (বুখারি ৬২৭)

৮. মসজিদে যেতে অক্ষম বয়োবৃদ্ধের জন্যও জামাতে নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। (ইবনে মাজাহ ৭৮৫)

আরো পড়ুন : আব্দুল ওয়াহাব পবিত্র কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন

৯. রোগীর সেবাযত্নে ব্যস্ত থাকলে এবং মসজিদে গেলে রোগীর সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাতে নামাজ পড়া জরুরি নয়। (ইবনে মাজাহ ৭৮৫)

১০. কারও ঘন ঘন প্রস্রাব-পায়খানার বেগ পেলে তাকেও ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে অপারগ মনে করা হয়। (তিরমিজি ১৩২)

১১. বন্দি অবস্থায় জামাতে নামাজ পড়া আবশ্যক নয়। (ইবনে মাজাহ ৭৮৫)

১২. কারও এক পা বা উভয় পা না থাকলে তার জন্যও জামাতে উপস্থিত হওয়া জরুরি নয়। (আবু দাউদ ৪৬৪)

 ১৩. চলাফেরা করতে অক্ষম এমন রোগে আক্রান্ত হলেও মসজিদে উপস্থিত না হওয়ার সুযোগ আছে। (আবু দাউদ ৪৬৪)

১৪. নামাজের সময় খাবার উপস্থিত হলে এবং ক্ষুধার্ত থাকলে জামাতে না গিয়ে খেতে বসার অনুমতি আছে। (বুখারি ৬৩১)

১৫. দূরের সফরের প্রস্তুতি গ্রহণের সময় মানুষের অনেক ব্যস্ততা থাকে, তখন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা জরুরি নয়। (বুখারি ৩/৬৭)

১৬. জামাতে নামাজ আদায় করতে গেলে সম্পদ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জামাত ত্যাগ করার অনুমতি রয়েছে। পশুপাখির কারণে কিংবা চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কারণে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এই বিধান প্রযোজ্য হবে। (আবু দাউদ ৪৬৪)

১৭. জামাতে যাওয়ার কারণে ট্রেন, ফ্লাইট বা গাড়ি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও জামাতে অংশ না নেওয়ার অনুমতি আছে। (আবু দাউদ ৪৬৪)

এস/ আই.কে.জে/

নামাজ হাদিস

খবরটি শেয়ার করুন