রবিবার, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটা হতে চাইলে যা খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৩ অপরাহ্ন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশে চিকন স্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় অবহেলা ও অবজ্ঞার শিকার হয়ে থাকেন। এই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কয়েকটি খাবারের কথা। যেগুলো খেলে আপনার ইচ্ছানুযায়ী বাড়াতে পারবেন স্বাস্থ্য। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

আলু

আলু আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাই। আলুসিদ্ধতে রয়েছে শর্করা, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আলু থাকলে মোটা হওয়া অবশ্যম্ভাবী। প্রতিদিন দুটি করে আলুসিদ্ধ খেলেও মোটা হওয়া যায়। যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি খাবার।

কিসমিস

মোটা হওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর খাবার হচ্ছে কিসমিস। কিসমিস আঙুর ফলের শুকনা রূপ। যা তৈরি হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। কিসমিস সহজেই হজমযোগ্য। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিংক, লৌহ, ফ্লোরাইড, পটাশিয়াম, ফোলাট, নিয়াসিন, কোলিন, ভিটামিন বি-৬ এবং রিবোফ্লাবিন জাতীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে কিসমিসে। যা রাতে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে শরীরের শক্তি ও ওজন বৃদ্ধি এবং মোটা হওয়া নিশ্চিত।

খিচুড়ি

খিচুড়িতে বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেড ও প্রোটিন মোটা হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। খিচুড়ি তৈরির অন্যতম উপাদান ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খাদ্যআঁশ ও অ্যামাইনো এসিড। খিচুড়ির সঙ্গে যদি বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি দেওয়া যায় তাহলে খাবারটি সুষম হয়। তাই খিচুড়ি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন মোটা হওয়ার অন্যতম খাবার।

ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা আপনাকে মোটা হতে সহযোগিতা করবে। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। যা মোটা ও শক্তিশালী করে তুলবে।  

বাদাম

বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি, ফ্যাটি এসিড, ক্যালরি, ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার। যা খেলে শরীরের ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ভাত ও ভাতের মাড়

সমাজ ও সংস্কৃতির কারণে ভাত আমাদের সবচেয়ে পরিচিত ও নিয়মিত খাবার। ভাতে প্রচুর কার্বো-হাইড্রেট রয়েছে। যা আমাদের মোটা হওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে ভাতের চেয়ে ভাতের মাড় (অঞ্চলভেদে ভিন্ন নাম থাকতে পারে) মোটা হতে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।  

আরো পড়ুন : ঢেঁড়স দিয়ে মাংস রান্না করে খেয়েছেন কখনও?

শাকসবজি

শাকসবজি ও আঁশ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই এটি নিয়মিত খেলে সুস্বাস্থ্য ও শক্তিবৃদ্ধি করাসহ মোটা হতে সাহায্য করে থাকে।

ফলমূল

নিয়মিত আপেল, নাশপাতি, আঙুর, কলা ইত্যাদি ফলমূল খেলে শরীরে শক্তি যেমন বাড়বে, তেমনি মোটা হতেও সাহায্য করবে।

মাছ

মাছে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও উৎকৃষ্ট আমিষ। মাছে শতকরা ১৫-২৫ শতাংশ প্রোটিন। এছাড়া রয়েছে আমাইনো এসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাশ, ভিটামিন 'এ' ও 'বি'। যা মোটা হতে সাহায্য করে।

দুধ

দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন বি-১২, নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন। এগুলো শরীরকে মোটা বানাতে সাহায্য করে।  

এস/ আই.কে.জে/       

মোটা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন