ছবি: সংগৃহীত
নগ্নতাকে উদ্যাপন করতেও শৃঙ্খলা প্রয়োজন। তাই ‘নগ্ন সৈকতে’ অনুপযুক্ত আচরণ রোধে নতুন আইন চালু করেছে জার্মানির রস্টক শহর। এখন থেকে এই শহরের নগ্ন সৈকতে পোশাক পরা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করা হবে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রস্টক ট্যুরিজমের কর্মকর্তা মোরিৎজ নাওমান জানিয়েছেন, নগ্ন সৈকতে পোশাক পরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে। অনেক মানুষ অনুভব করেছেন, এসব ব্যক্তি তাদের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন। তাই ‘সংঘাত এড়ানোর জন্য’ নতুন এই বিধি চালু করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগ্ন সৈকতে শালীন আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ন্যাচারিস্ট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট স্টিফান ডেসচেনেস জানিয়েছেন, নগ্ন সৈকতে সাধারণত তিনটি কাজ এড়িয়ে চলা উচিত।
তার মতে, ‘প্রথমত, অন্যদের দিকে বারবার বা দীর্ঘ সময় তাকানো অনুচিত। দ্বিতীয়ত, অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তোলা নিষেধ। তৃতীয়ত, অন্যদের শরীর বা উপস্থিতি নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য না করা।’
সোমবার (৩রা মার্চ) সিএনএন জানিয়েছে, রস্টক শহরে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত রয়েছে। এই সৈকত তিন ভাগে বিভক্ত। এর একটি হলো শুধু নগ্ন সৈকত। আরেকটি হলো মিশ্র সৈকত (যেখানে কেউ নগ্ন বা পোশাক পরতে পারেন)। অন্য অংশটিতে শুধু পোশাক পরিধেয়রাই অবস্থান করতে পারেন।
জার্মানিতে ঐতিহ্যগতভাবে নগ্নতা অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও নতুন প্রজন্মের মধ্যে এটি কমে আসছে। ফলে দেশটিতে নগ্ন সৈকতের সংখ্যা ৩৭ থেকে কমিয়ে ২৭ ব্লকে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তবে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড—বিশ্বজুড়ে অসংখ্য জনপ্রিয় নগ্ন সৈকত রয়েছে। যারা শুধু সূর্যস্নান, নরম সাদা বালুর সৈকত এবং স্বচ্ছ জল উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য গ্রিসের একটি সৈকত ২০২৫ সালে সেরা সৈকত নির্বাচিত হয়েছে।
এইচ.এস/