ছবি : সংগৃহীত
বায়ার্ন মিউনিখে হ্যান্সি ফ্লিক-রবার্ট লেভানডফস্কি জুটি ঘুম কেড়ে নিয়েছিল পুরো ইউরোপের। জার্মান কোচের অধীনে বাভারিয়ানদের হয়ে এই পোলিশ স্ট্রাইকার ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। পুরাতন সেই গুরু-শিষ্য জুটি আবার দেখা গেল চলতি মৌসুমে বার্সেলোনায় এসে। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই আছে লেভানডফস্কি। গতকাল রাতে অংশ হয়েছেন ইতিহাসের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ গোলের নজির গড়লেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। মঙ্গলবার (২৬শে নভেম্বর) রাতে ফ্রান্সের দল ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পথে এই অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেন লেভা। ম্যাচে করেছেন দুই গোল। ক্যারিয়ারের ১২৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে এসে এই কীর্তি ছুঁয়েছেন পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার।
বেস্তের বিপক্ষে এই জয় দিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ফিরল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ব্রেস্তকে উড়িয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। ম্যাচে জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডফস্কি এবং বাকি গোলটি দানি ওলমোর।
দশম মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন লেভা। এই গোল দিয়েই পূরণ করেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিজের শততম গোল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির পর মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই বিশেষ ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন লেভানডফস্কি। সেই সঙ্গে আরও কিছু রেকর্ড নিজের করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন : গ্লোবাল সুপার লিগে জয় সাকিবের গায়ানার
সবচেয়ে বেশি বয়সে– ৩৬ বছর ৯৭ দিনে এসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন পোলিশ ফরওয়ার্ড। ম্যাচ খেলেছেন ১২৫টি। যা ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর চেয়ে (১৪৪ ম্যাচ) থেকে কম হলেও মেসির চেয়ে (১২৩ ম্যাচ) দুই ম্যাচ বেশি। দ্রুততম গোলের বিচারে তাই লেভানডফস্কি আছেন দুইয়ে।
অবশ্য অন্যদিক থেকে মেসি আর রোনালদো দুজনকেই পার করেছেন এই স্ট্রাইকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রেস্টিজিয়াস আসরে ১০০ গোল করতে রোনালদো নিয়েছিলেন ৭৯৩ শট। লিওনেল মেসি ৫২৭ শটে এসে পেয়েছিলেন শততম গোল। বিপরীতে রবার্ট লেভানডফস্কি মাত্র ৪৫১তম শটেই এই প্রতিযোগিতায় করেছেন গোলের সেঞ্চুরি।
ম্যাচের প্রথমার্ধে আরও তিনবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় বার্সেলোনা। ফার্মিন লোপেজ একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছেন প্রথমার্ধের পুরোটা জুড়ে। বিরতিতে বার্সা গিয়েছিল সেই ১ গোলের লিড নিয়েই।
বার্সেলোনা গোল পায় ৬৬ মিনিটে। জেরার্ড মার্তিনোর চমৎকার পাস পেয়ে ডিফেন্ডারদের পাশ কাটিয়ে কাছের পোস্টে বল জালে জড়ান ওলমো। বার্সার বাকি গোলটি আসে যোগ করা সেময়ের দ্বিতীয় মিনিটে। আলেহান্দ্রো বাল্দের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন লেভানডফস্কি।