ছবি: সংগৃহীত
স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বেকার যুবক ও চাষীদের অনেকেই বাণ্যিজ্যিকভাবে কুল চাষে ঝুঁকছেন। সাতক্ষীরা জেলায় চলতি মৌসুমে ৮৪১ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, থাই আপেল, বাউকুল, আপেল কুল, তাইওয়ান কুল, নারিকেলি, নাইনটিসহ নানা জাতের কুল রয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় এ জেলার বেশির ভাগ অনাবাদি জমি এখন সারি সারি কুল গাছে ছেয়ে গেছে। সাতক্ষীরার বেলে দোঁয়াশ মাটি ও নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া কুল চাষের উপযোগী।
জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগামসহ বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করা হচ্ছে এ কুল। এবার উৎপাদনও মোটামুটি ভালো হয়েছে বলে জানান চাষীরা। সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রকার কুলের সুনাম রয়েছে দেশে-বিদেশে। কুল চাষ করে এ জেলার অনেকেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। দূর করেছেন বেকারত্ব, হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।
সাতক্ষীরা সদরের কুলচাষী শেখ মেহেদী হাসান মিঠু জানান, বাংলা সনের ফাল্গুন মাসের শেষের দিক থেকে পুরাতন কুল গাছের ডাল কেটে ফেলে জমিতে সেচ ও পরিচর্যার কাজ শুরু হয়। কার্তিক মাসের প্রথম দিকে কুল গাছে ফুল ধরার পর বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হয়। এ সময় কুল ফুলে মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে গাছে কুল ধরা শুরু হলে স্বাস্থ্য হানিকর নয় এমন হর্মোন স্প্রে করা হয়। পৌষ মাসের শুরুতেই কুল পাকতে শুরু করে। শেষ ফাল্গুন পর্যন্ত কুল পাওয়া যায়। জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার ও ১৫ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষ শ্রমিক এসব কুল বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নগরঘাটা এলাকার কুল চাষী দেবাশীষ বলেন, আমি মৎস্য ঘেরের বেড়িতে কুল গাছ লাগিয়েছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এখন বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভালো থাকলে আমি আশা করছি ১ লক্ষ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারব। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ কুইন্টাল কুল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: হাওরে ধান চাষের পাশাপাশি হাঁসের খামার, লাভবান কৃষকরা
এসি/ আই.কে.জে