সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ২৯শে ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া *** ২০শে জানুয়ারির মধ্যে সব পাঠ্যবই সরবরাহের নির্দেশ *** মুম্বাইয়ে অরিজিতের কনসার্টের টিকিটের মূল্য লাখ টাকা *** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম

বিয়ার গ্রিলস কী সত্যিই এই অখাদ্যগুলো খায়?

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫৫ অপরাহ্ন, ২৫শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড’ এটি একটি জনপ্রিয় টিভি শো। এই অনুষ্ঠানে একজন অ্যাডভেঞ্চারার বা অভিযাত্রী হিসেবে টিকে থাকার লড়াইয়ে কী কী কৌশল অবলম্বন করা উচিৎ সেই বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়। আর এই টিকে লড়াইকে সবার সামনে তুলে ধরেন ‘বিয়ার গ্রিলস’। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে বিয়ার গ্রিলসের এই টিকে থাকার লড়াই সাধারণ দর্শককে অবাক করে দেয়। আর তাই দর্শকদের বিয়ার গ্রিলস সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেক বেশি। তার মধ্যে একটি প্রশ্ন সবার মধ্যে উঁকি দেয়, বিয়ার গ্রিলস কী সত্যি অখাদ্য গুলো খায়?  

অনেক সমালোচকের বক্তব্য যে বিয়ার নিজে এই কাজ গুলো করে না। তবে সত্য এই যে অনুষ্ঠানে দেখানো কাজগুলো সত্যই বিয়ার  নিজে করে। তবে কখনো কখনো দলের সঙ্গীরা সাহায্য করে বিয়ার গ্রিলসকে।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে দেখানো অভিযানগুলোর কোনো কোনোটি শুটিং করতে সাত থেকে আট দিন সময় লেগে যায়। কিন্তু অনুষ্ঠানে দেখানো হয় মাত্র দুই একদিনে অভিযান শেষ হয়ে যায়। এসময়  কখনো কখনো বিয়ার গ্রিলস ও তার দল হোটেলে চলে যায় বা তাদের খাবার দেওয়া হয়। তবে বেঁচে থাকার কৌশল শেখাতে বিয়ার ওই অখাদ্যগুলোও খেয়ে দেখিয়েছে।

জনপ্রিয় এই শো ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের ক্রেজ আরো কিছুটা বাড়িয়ে দিতে মাঝে মধ্যেই কিছু বিখ্যাত ব্যক্তি এবং জনপ্রিয় তারকাদের আগমন ঘটেছে। তারা বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে তার অভিযানে সঙ্গি হয়েছে। বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছে দুর্গম স্থানে।

আরো পড়ুন : যে ভেড়ার দাম ফেরারি গাড়ির চেয়ে বেশি

বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো বিয়ার গ্রিলস সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করেছেন। এভারেস্ট জয়ের পর পরই তাকে নিয়ে পুরো বিশ্বে সাড়া পড়ে যায় বিশেষ করে গ্রেট ব্রিটেনে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রয়েল লাইফ বোট ইনস্টিটিউটের তহবিল গঠনের জন্য ব্রিটিশ আইলের পাড়ি দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় পা হারানো বন্ধুর চিকিৎসার জন্য নগ্ন হয়ে নেমে গেছেন হিমশীতল টেমস নদীতে। ২০০৪ সালে,  মানব সেবায় অবদান রাখার জন্য সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেওয়া হয় গ্রিলসকে।

লেখক হিসেবেও বিয়ার গ্রিলস বেশ বিখ্যাত। বিয়ার তার অভিযানের অভিজ্ঞতা বর্ননা করে অনেকগুলো বই লিখেছেন। বিয়ারের লেখা প্রথম বইয়ের নাম ‘ফেসিং আপ’। বইটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রে এই বইটি প্রকাশিত হয় ‘দ্য কিড হু ক্লাইম্বড এভারেস্ট’ নামে।

বিয়ারের লেখা দ্বিতীয় বইটিও এভারেস্টে তার অভিযান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত। বইটির নাম ‘ফেসিং দ্য ফ্রোজেন অশেন’। এই বইটি উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় ২০০৪ সালে।

যদি কখনো  কেনো দুর্গম পরিবেশে আটকে যান তাহলে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড খ্যাত বিয়ার গ্রিলসের শেখানো কৌশলগুলো মনে রাখবেন। দুর্গম ও প্রতিকূল পরিবেশে আটকে গেলে সেখান থেকে যেনো বেঁচে ফিরে আসতে পারেন এ জন্যই বিয়ার গ্রিলস এমন ঝুঁকি নিয়ে কৌশল গুলো শেখায়।

এস/ আই.কে.জে/


বিয়ার গ্রিলস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন