ছবি : সংগৃহীত
ব্যক্তিত্বকে মেলে ধরতে লম্বা হওয়ার গুরুত্ব অনেক। কিন্তু অনেকেই বেশকিছু কারণে লম্বা হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাদের জন্য বেশকিছু টিপস দিয়েছে আমেরিকান হেলথলাইন। আসুন জেনে নিই, লম্বা হতে নিয়মিত করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে।
আমাদের উচ্চতা সাধারণত বংশগত, হরমোন আর বয়সের ওপর নির্ভর করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ১৮-র পর মানুষের উচ্চতা তেমন বাড়ে না। আবার যদি স্পাইনাল কর্ডে কোনো চোট থাকে, সেখান থেকেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে উচ্চতায়।
যেহেতু উচ্চতা সৌন্দর্যবর্ধক একটি গুণ, তাই যাদের উচ্চতা কম তারা যেন ১৮ বছরের পরও নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারেন, তার জন্য নিয়মিত বিশেষ কিছু টিপস মেনে চলুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বংশপরম্পরায় অপুষ্টিতে ভুগেছেন তাদের বাড়িতে খুব ভালো হাইটের মানুষ খুব কমই আছেন। এদিকে বিজ্ঞান বলে, উচ্চতা অনেকখানি নির্ভর করে পুষ্টির ওপর। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, পেশির গঠন যত ভালো হবে, উচ্চতাও কিন্তু তত ভালো হবে।
যাদের বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত হাইট বা উচ্চতা পাননি, তারা লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন এনে উচ্চতা বাড়াতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হতে এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে–
আরো পড়ুন : কাঁঠালের বিচি খেলে যেসব রোগের ঝুঁকি কমতে পারে
১) হাইট বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ হলো পর্যাপ্ত ঘুমানো। কারণ, রাতে ঘুমের সময় শরীরের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে গ্রোথ হরমোন (এইচজিএইচ হরমোন) উৎপন্ন হয়, যা আপনার উচ্চতা বাড়াতে অনেকটাই সহায়ক।
২) খাবার হিসেবে অবশ্যই সুষম খাবার বেছে নিন। এ ক্ষেত্রে ডায়েট লিস্টে হাই প্রোটিন, শর্করা, ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি-কে প্রাধান্য দিতে হবে। এসব পুষ্টি হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে শারীরিক গ্রোথকে বাড়িয়ে তোলে।
৩) চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতিদিনের ব্যায়ামের অভ্যাস আপনার গ্রোথ হরমোন নিঃসরণে কাজ করে। তাই দড়ি লাফ, জাম্পিং, বাস্কেটবল, ভলিবল, সাইকেল চালানো, নিয়মিত তিন মিনিট ঝুলে থাকা, যোগাসন করা এ ক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী।
৪) আমরা যে খাবার খাই তা ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রাথমিক উৎস। এগুলো আমাদের বেড়ে উঠতে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু কখনো কখনো খাবার আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না। তাই পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ডায়েটে সাপ্লিমেন্ট যোগ করতে পারেন। কেন না, সাপ্লিমেন্টস উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫) পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া কিংবা ডেস্কে মাথা রেখে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এতে আপনার শরীরের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
৬) চলাফেরা, বসায় আপনার শারীরিক ভঙ্গি সোজা রাখুন। এর অন্যথা হলে ঘাড়, কোমর ও পিঠে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয়, যা ধীরে ধীরে আপনার উচ্চতাকে আরও কমিয়ে দেবে।
৭) আপনাকে দিনের বেশির ভাগ সময়ই যদি কম্পিউটার, ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়, তাহলে কাজের মাঝে একটু বিরতি নিন। নিয়মিত এই অভ্যাস অনুশীলনে আপনার হাইট আগের তুলনায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। চেষ্টা করুন, নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে। শারীরিক চর্চা বা নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ইয়োগা করুন।
এস/ আই.কে.জে/