বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা *** গোপালগঞ্জে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর *** বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাল দ. কোরিয়া *** মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচন *** শেখ হাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান, তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ

ছিনতাইকারি হনুমান!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:০৩ অপরাহ্ন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

ছিনতাইকৃত অর্থ কিংবা দ্রব্যসামগ্রি পুনরায় উদ্ধার করা কতখানি ঝক্কি ঝামেলার তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। আর কতভাগ উদ্ধার সম্ভব তাও কোটি টাকার প্রশ্ন। কোনো ছিনতাইকারি ছিনতাই করে সেই অর্থ ও দ্রব্যসামগ্রি স্বেচ্ছায় ফেরত দিয়েছে, এমন নজির কিন্তু খুবেই কম। আর ছিনতাইকারি যদি বাঁনর বা হনুমান হয় সেক্ষেত্রে কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তবে এ ক্ষেত্রে হনুমানটি যা করেছে তাতে তার প্রশংসাই প্রাপ্য। 

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়ে শনিবার বিকেলে এক হনুমান সেই প্রশংসনীয় কাজ করেছে বলে অনেকে মনে করেন। এক মহিলার হাত থেকে ছোঁ মেরে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পর যত্নেই রেখেছিল সে। তবু ফিরে পাওয়ার আশা ছিল ক্ষীণ। তবে অনুরোধ-উপরোধে আর কুল, কলা খাইয়ে দিব্যি তার মন গলানো গেলো! মোবাইলটি ফিরিয়ে দেয় হনুমান। এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলেই বলছেন, বাঁদরামি বিশেষ করেনি এই চারপেয়ে।

শনিবার তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গুসকরা বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে পরপর কয়েকটি দোকান। ফাস্ট ফুড, হোটেল, চায়ের দোকানে তার অবাধ যাতায়াত। শনিবারও হোটেলের সামনে গিয়েছিল হনুমানটি।  হোটেলের মালিক  তাকে খেতেও দিলেন। হোটেল কর্মী গৃহবধূ সোনালি চক্রবর্তী জল খাওয়ালেন। নিজের স্মার্টফোন থেকে হনুমানের ছবিও তুললেন। আর তারপরই অকস্মাৎ সেই ঘটনা! সোনালি’র হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে চলে যায় হনুমান। তবে নাগালের বাইরে যায়নি, কাছাকাছিই বসেছিল  ‘হনু’।

এভাবে চোখের সামনে মোবাইল খোয়াতে দেখে সোনালি প্রথমে মনখারাপ করেছিলেন। পরক্ষণেই মাথায় আসে কৌশল। ‘হনু’র কাছে গিয়ে সকলে ‘বাবা-বাছা’ করতে থাকেন। সোনালি-তো পায়ে ধরে একপ্রকার নাকখতই দিলেন! মোবাইল আদায় করতে কালঘাম ছুটে যায় সকলের। শেষে প্রায় আধঘন্টা পর হনুমান নিজেই একটি দোকানের চালে মোবাইলটি রেখে পগারপার! তাতেই নিজের স্মার্টফোন ফিরে পান সোনালি। আর গোটা দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে রাখেন কয়েকজন।

কেসি/কেবি


হনুমান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন