ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর সচিবালয় রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের দুই কোচের মাঝখান দিয়ে এক কিশোর ছাদে উঠে পড়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রোববার (৩০শে নভেম্বর) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে আর ট্রেন চালু হয়নি।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, ছাদে থাকা ওই কিশোরকে কিছুক্ষণের মধ্যেই মই দিয়ে নামিয়ে আনে এমআরটি পুলিশ। পরে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। কোনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শী এমন ধারণা দেন যে আরও একজন মেট্রোরেলের লাইন ধরে দৌড় দিয়েছেন।
যদিও পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে লাইনে খুঁজে পায়নি। মেট্রোরেল চলাচলের নীতিমালা অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে পুরো লাইন এবং সবগুলো ট্রেন পরীক্ষা–নিরীক্ষার দরকার পড়ে। সে কারণেই রাতে আর ট্রেন চালু করা হয়নি।
মেট্রোরেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, সতর্কতার অংশ হিসেবে রাতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সোমবার (১লা ডিসেম্বর) সকাল থেকে সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলবে। ওই কিশোর কেন এবং কীভাবে ট্রেনের ছাদে উঠল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
ডিএমটিসিএলের সূত্র জানায়, কিশোরটির বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে, কোনো শিশুসদনে ছিল সে। কিছুটা মানসিকভাবেও অপ্রকৃতিস্থ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মিরপুরের কাজীপাড়া এলাকায় মেট্রোরেলের লাইনে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। এর পর থেকে মেট্রোরেলের স্টেশনে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কিন্তু যে কিশোর ট্রেনের ছাদে উঠে যায়, সে যাত্রী হিসেবে স্টেশনে প্রবেশ করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেট্রোরেলের লাইনের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কেব্ল (ক্যাটিনারি সিস্টেম) রয়েছে। ট্রেনের ছাদের সঙ্গে ওই তার যুক্ত হয়েই বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। কিশোরটি ছাদে যেভাবে উঠেছে, তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এ ধরনের ঘটনা মেট্রোরেল চালুর পর আর হয়নি। ফলে বিষয়টি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
খবরটি শেয়ার করুন