ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’। এছাড়া যদি কোনও ব্যক্তি দল পরিবর্তন করে অন্য দলের প্রার্থী হতে চায়, তাহলে ওই দলে তিন বছরের সদস্য পদ থাকার বাধ্যবাধকতার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
জানা গেছে, নির্বাচন এলেই দল ভাঙাগড়ার খেলা শুরু হয়। এজন্য চলে টাকার খেলাও। এই খেলায় যুক্ত হন রাজনীতিক, সরকারি আমলা ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও। গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এটা অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ মুহূর্তে বিএনপি থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। ওই নির্বাচনে তিনি জয়ীও হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা এ ধরনের খেলা বন্ধের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থায় অন্তত ১৫-১৬টি বিষয়ের ওপর সংস্কার প্রস্তাব করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কমিশন। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে ওইসব বিষয়ের ওপর মতামতও নিচ্ছে। এসব বিষয়ের অন্যতম হচ্ছে-নির্বাচনে অটোপাশ বন্ধ করা। বর্তমানে কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে- তার কোনো মান নির্ধারণ করা নেই। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির সময়ে অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র সোয়া ৫ শতাংশ ভোট পড়ে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন মাত্র ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ভোটারের অংশবিহীন এমন নির্বাচন বন্ধে সুপারিশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ভোট পড়ার ন্যূনতম একটি হার নির্ধারণ করে এর কম ভোট পড়লে- তা বাতিলের সুপারিশ করবে। ওই হার ৫০ শতাংশ হবে নাকি আরও কম হবে-তা চূড়ান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন