ছবি: সংগৃহীত
দেখতে অনেকটা পাঙাশের মতো। রুপালি রঙের আঁশবিহীন মাছ। সাধারণত এই মাছের ওজন এক থেকে দুই কেজি হয়। বর্ষা মৌসুমে জালে মাঝেমধ্যে দু–একটি ঢাঁই মাছ ধরা পড়ে। তবে পদ্মা নদীতে সাত কেজি ওজনের একটি ঢাঁই মাছ ধরা পড়েছে।
সোমবার (পহেলা জুলাই) সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে জালে ৭ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি ঢাঁই মাছ ধরা পড়েছে। স্থানীয় জেলে হজরত মণ্ডলের জালে মাছটি ধরা পড়ে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় আট কিলোমিটার উজানে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মজলিশপুর এলাকায় মাছটি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: দেশের প্রথম রোবটিক সার্জারি চালু হচ্ছে রংপুরে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে বের হন বাহিরচর দৌলতদিয়া চাঁদখানপাড়ার জেলে হজরত মণ্ডল। বাহিরচর থেকে জাল ফেলে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে উজানচর ইউপির চর করনেশনা-মজলিশপুর এলাকায় জাল নৌকায় তুলে তিনি দেখতে পান বড় একটি ঢাঁই মাছ। সঙ্গে উঠে আসে আরও দুটি ইলিশ। বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে দুলাল মণ্ডলের আড়তে। এসময় নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ মাছগুলো কেনেন।
শাহজাহান শেখ জানান,পদ্মা নদীতে বছরে দু–একটি বড় ঢাঁই মাছ ধরা পড়ে। এ মৌসুমে এত বড় ঢাঁই এই প্রথম পাওয়া গেল। মাছটির ওজন প্রায় ৭ কেজি ১০০ গ্রাম। ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ৭০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন। মাছটি তাঁর ফেরিঘাট আড়তে বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছেন। কেজিপ্রতি তিনি ২০০ টাকা করে লাভ পেলেই বিক্রি করবেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাঁই বা শিলং হচ্ছে ক্যাটফিশ–জাতীয় সুস্বাদু ও¯খরস্রোতা নদীর আঁশবিহীন রুপালি রঙের মাছ। লম্বায় সাধারণত ১৮৩ সেন্টিমিটার, ওজনে ৩ থেকে ১০ কেজি হয়। রুপালি রং এবং পাখনাগুলো লাল রঙের হয়। অন্যান্য ক্যাটফিশের তুলনায় এই মাছ ডিম কম দেয়। বর্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক মাছ প্রজননের জন্য ছোট নদী থেকে বড় নদীতে আসে। ঢাঁই বেশ দুষ্প্রাপ্য ও দামি মাছ।
এইচআ/