বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

ছেলের ছদ্মবেশে গান শেখা উম্মে কুলসুমে আজও মোহিত আরব বিশ্ব

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ৫০ বছর আগে। দিনটি ছিল ৩রা ফেব্রুয়ারি। দুনিয়া ছেড়ে গেলেও হারিয়ে যাননি সংগীতপ্রেমীদের হৃদয় থেকে। আরব বিশ্বের মানুষের মুখে মুখে এখনো তার গান। মিসরের ব্যস্ত সড়কে, ইরাকের পুরোনো ক্যাফেতে এবং মরক্কো থেকে ওমান পর্যন্ত লাখো মানুষের ঘরে ভেসে বেড়ায় তার কণ্ঠ। এখনো তার সুরের মুর্ছনায় মোহিত সংগীতপ্রেমীরা। প্রতিটি গানে ও প্রতিটি সুরে তিনি জীবন্ত তাদের হৃদয়ে।

যার কণ্ঠ এখনো আরব বিশ্বের মানুষের মনকে উদ্বেলিত করে, তিনি কিংবদন্তি শিল্পী উম্মে কুলসুম। এই গুণী শিল্পীর নামে প্রতিষ্ঠিত কায়রোর এক ক্যাফের ব্যবস্থাপক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বললেন, ‘যত দিন মানুষ গান শুনবে, তত দিন উম্মে কুলসুম বেঁচে থাকবেন। এখনো তিনি প্রতিটি গানে ও প্রতিটি সুরে বেঁচে আছেন।’ এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

মিসরের কায়রোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উম্মে কুলসুমের দাফন হয়েছিল। ১৮৯৮ সালে নীল নদের তীরে ছোট্ট একটি গ্রামে সাধারণ একটি পরিবারে উম্মে কুলসুমের জন্ম হয়। সেখান থেকে তিনি আরব বিশ্বের কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। তার বাবা ছিলেন একজন ইমাম। অল্প বয়সেই মেয়ের মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পেয়েছিলেন বাবা। মিসরীয় সমাজের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয়ে তিনি মেয়ে উম্মে কুলসুমকে ছেলের ছদ্মবেশে প্রকাশ্যে গান গাইতে পাঠান।

তবে তখন সময়টা ছিল বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক। সেসময় মিসরীয় সমাজের ভয়ে তিনি মেয়েকে ছেলে সাজিয়ে অনুষ্ঠানে গান গাওয়াতেন। তার সুমিষ্ট কণ্ঠ, জাদুকরী সুর ও আকর্ষণীয় পরিবেশনা দ্রুতই শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। ১৯৩০–এর দশকে তিনি কায়রোতে পাড়ি জমান।

উম্মে কুলসুমের গান আরবি সংগীতের জগতে এক বৈপ্লবিক ঘটনা বলা চলে। তিনি ধ্রুপদি কবিতার সঙ্গে অর্কেস্ট্রার সংমিশ্রণ ঘটান। গান গাওয়ার সময় তার স্বতঃস্ফূর্ত পরিবেশনাই তাকে কিংবদন্তিতে পরিণত করে।

কুলসুম দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে গানের পঙ্‌ক্তিগুলো দীর্ঘায়িত করতেন ও পুনরাবৃত্তি করতেন, তার মধ্যে ছিল এক অপূর্ব সম্মোহনী ক্ষমতা।

শুধু যে আরব বিশ্বই কুলসুমের গানে মুগ্ধ হয়েছে, এমনটা নয়। পশ্চিমা সংগীতশিল্পীরাও তার মায়াবী সুরে মোহিত হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। মারিয়া কালাস, রবার্ট প্ল্যান্ট ও বব ডিলান—সবাই তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এই বছর উম্মে কুলসুমের বায়োপিক চলচ্চিত্র আকারে বড় পর্দায় আসতে চলেছে, যেখানে তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিসরের তারকা মোনা জাকি।

এই চলচ্চিত্রে উম্মে কুলসুমকে শুধু একজন সংগীতশিল্পী হিসেবেই নয়, বরং একজন নারীবাদী ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখা যাবে, যিনি সমাজের প্রচলিত নিয়ম-নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

হা.শা./কেবি




সঙ্গীতশিল্পী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন