বৃহস্পতিবার, ২৮শে আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলে কখন থেকে কার্যকর হবে—প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির *** শাহবাগে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’ *** ২৮ তারিখ নয়, রাকসুর ভোট গ্রহণ ২৫শে সেপ্টেম্বর *** গাজা যুদ্ধের কভারেজ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংবাদিক ঘোষণা দিয়ে রয়টার্স ছাড়লেন *** ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ *** জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামা সংশোধন করবে কমিশন *** পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িত ‘র’–এর সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দিল্লিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা *** বেসরকারি খাতে যাচ্ছে নগদ, এক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি: গভর্নর *** নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে বিরতিতে বাংলাদেশ *** চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানির চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নিতে তিন উপদেষ্টার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস আজ, কেন এই দিবস?

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৫ অপরাহ্ন, ২৩শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

প্রতিবছর ২৩শে জুন পালিত হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। অনেকের মনে হতে পারে এই দিবস পালনের কারণ কী? জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০১০ সালের ২১শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস হিসেবে ২৩শে জুন দিনটিকে স্বীকৃতি দেয়।

তবে লুম্বা ফাউন্ডেশন ২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস পালন করছে। রাজিন্দর লুম্বা হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য। তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিধবা হওয়ার সময় একজন নারীর মুখোমুখি হওয়া সমস্যাগুলোর উপর কাজ করার জন্য লুম্বা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রাজিন্দর মা ১৯৫৪ সালে ৩৭ বছর বয়সে বিধবা হন। তারপর তার মাকে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তা দেখে এই ফাউন্ডেশনটি চালু করতে অনুপ্রাণিত হন তিনি। ২০০৫ সালে চালু হওয়ার পর, লুম্বা ফাউন্ডেশন জাতিসংঘের স্বীকৃতির জন্য একটি পাঁচ বছরের বিশ্বব্যাপী প্রচারণার নেতৃত্ব দেয়। এরপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসকে বার্ষিক বৈশ্বিক কর্ম দিবস হিসেবে গ্রহণ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়।

আরো পড়ুন : সব সম্পত্তি কুকুর-বিড়ালকে লিখে দিলেন নারী, কিন্তু কেন?

মূলত বিধবা নারীদের দারিদ্র্য এবং অবিচারের সমাধানের জন্য এই দিনটি নিবেদন করা হয়েছে। বৈধব্য মোটেই সহজ বিষয় নয়। সঙ্গীহীন জীবন কাটানো একজন মানুষের জন্য খুবই কঠিন। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরো বলছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সঙ্গীহীন। যাদের মধ্যে ১১ মিলিয়নেরও বেশি নারী। সঙ্গীকে হারানো কখনই সহজ বিষয় নয়। আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসে সারা বিশ্বে বিধবাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাই প্রধান লক্ষ্য।

যেহেতু যে কোনো মানুষের জন্য প্রিয়জনকে হারানো কঠিন এবং বেদনাদায়ক। তাই এই দিনের লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে বিধবাদের সেই অবিশ্বাস্য কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়া। কারণ অনেক দেশে বিধবাদের উত্তরাধিকারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন সংস্কৃতিও রয়েছে যেখানে তারা বিধবাদের অভিশপ্ত বা জাদুবিদ্যার অনুশীলনের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে দেখে। এই ভুল মানসিকতা তাদের সম্প্রদায় থেকে এমনকি তাদের সন্তানদের থেকেও বিচ্ছিন্ন করে।

সূত্র: ন্যাশনাল টুডে

এস/ আই.কে.জে/

বিধবা দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন