বৃহস্পতিবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা *** আগামীকাল স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’ *** ‘দুটি সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটা যুব, আরেকটা মায়েদের’ *** রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

আইয়ুব বাচ্চু ও সালমান শাহকে নিয়ে নোবেলের স্মৃতিচারণা

বিনোদন প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২৫

#

আইয়ুব বাচ্চু, সালমান শাহ ও নোবেল। ছবি: সংগৃহীত

১৮ই অক্টোবর ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। অন্যদিকে ২০শে অক্টোবর সালমান শাহ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। এই দুই তারকার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল মডেল আদিল হোসেন নোবেলের। আইয়ুব বাচ্চু ও সালমান শাহকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন তিনি।

আজাদ বল পয়েন্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচিতি পান নোবেল। এই বিজ্ঞাপনের ‘লোনলি ডে, লোনলি নাইট’ শিরোনামের জিঙ্গেলটি গেয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর নোবেলের করা অনেক বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে পাওয়া গেছে আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠ। কাজের বাইরেও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল দারুণ।

আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে তাই ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন নোবেল। সেই কথা জানিয়ে নোবেল বলেন, ‘সেদিন আমি একা বাসায় ছিলাম, তার মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে আটকে রাখতে পারি নাই। হাউমাউ করে কান্না করেছি।’

আইয়ুব বাচ্চুর কথা স্মরণ করে নোবেল বলেন, ওনাকে আমি ছোটবেলা থেকে চিনতাম। বাচ্চু ভাই তখন চট্টগ্রামে একটা ব্যান্ডে বাজাতেন। ভার্সাটাইল একজন মিউজিশিয়ান ছিলেন। আমি যখন ঢাকায় প্রথম আসি, তখন আমাদের বাসা ছিল মগবাজার। বাসা থেকে বের হলেই বাউন্ডারি দেওয়া বড় একটা গেট। একদিন দেখি, ওই গেটের ভেতর থেকে উনি বের হচ্ছেন। আমি ছুটে যাই তার কাছে। জানতে পারলাম, উনি সেই বাসাতেই থাকেন। 

নোবেল বলেন, এর পর আমাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। আমার কাজের ক্ষেত্রেও তার সম্পৃক্ততা ছিল অনেক। আমার বেশির ভাগ জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল তার করা। কখনো কোনো বিজ্ঞাপনের গান পছন্দ না হলে আমাকে বলতেন, তোর এই বিজ্ঞাপনের কাজ কে করেছে। আমাকে বললেই তো আমি করে দিতাম। প্রায়ই ওনার এবি কিচেনে যেতাম। কত স্মৃতি সেখানে আমাদের।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে অভিষেকেই মাত করে দিয়েছিলেন সালমান শাহ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সালমানকে। প্রথমে এই সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব গিয়েছিল নোবেলের কাছে। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এ নিয়ে আফসোস নেই তার।

নোবেল বলেন, ‘আফসোসের উল্টোটা লেগেছে আমার কাছে। সিনেমাটি দেখার পর মনে হয়েছে, মাই গড, বেঁচে গেছি, আমি করি নাই। আমারটা কোনো দিন এত সুন্দর হতো না। ইমনের (সালমান শাহ) লুক, অভিনয়—সব মিলিয়ে পুরো সিনেমাটি খুবই সুন্দর লেগেছে। আমি করলে এটা নষ্ট হয়ে যেত—আমার কাছে এটা মনে হয়েছে। সিনেমা দেখার পর ইমনকে আমার ভালো লাগার কথা জানিয়েছিলাম।’

শুধু সিনেমা নয়, বিজ্ঞাপনেও তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সালমান শাহর নাম। এইআরসি চায়ের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে নোবেলের যাত্রা শুরু। তারও আগে কোমল পানীয় স্প্রাইটের একটি বিজ্ঞাপন করেছিলেন নোবেল, আর সালমান করেছিলেন ফান্টার বিজ্ঞাপন। সালমানের করা বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হলেও, নোবেলের করা বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হয়নি। এ নিয়েও আফসোস নেই নোবেলের।

তিনি বলেন, ‘আমি, ইমন ও ইমরান তিনজন তিনটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। শুটিং শেষে ইমরান ও ইমনের কাজ দেখে দারুণ লেগেছিল। আমাকে যখন ডাকা হলো, তখন খুব ক্লান্ত ছিলাম। রেকর্ডিংয়ের সময়ই কাজটি দেখে খুব আপসেট হয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম, আমাকে দিয়ে আর মডেলিং হবে না। তাই খুব খুশি হয়েছিলাম যখন আমাকে জানানো হলো, আমার বিজ্ঞাপনটি অ্যাপ্রুভ হয়নি।’

জে.এস/

আদিল হোসেন নোবেল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250