সোমবার, ১৯শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লালন, হাসনের অনুষ্ঠানও জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, ৮ই মে ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুলজয়ন্তী পালনের পাশাপাশি লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠানও জাতীয়ভাবে আয়োজন করা উচিত বলে মনে করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

আজ বৃহস্পতিবার (৮ই মে) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

এ সময় সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জমিদারি সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে আসতেন। সেখানকার মানুষের সঙ্গে তার আলাদা একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটা ছিল জাগতিক ও ইন্টেলেকচুয়াল। রবীন্দ্রনাথের অনেক চিঠিপত্রে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের প্রকৃতির টানের পাশাপাশি এ দেশের একদল ভাবুক মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। বিশেষ করে গগন হরকরা।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রাথমিক অভিব্যক্তি হলো গান। আমাদের দেশের মানুষ যখন আনন্দ পায়, দুঃখ পায় কিংবা অনুভূতি জানাতে চায়, তখন তাদের প্রাথমিক অভিব্যক্তি হয় গান। আমি এগুলো শুধু গান হিসেবে না দেখে কবিতা ও দর্শন হিসেবে দেখতে বলব। তাহলেই আমরা বুঝতে পারব এ অঞ্চলের দর্শন ও ভাবের গভীরতা কতটুকু ছিল।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার চোখে আপনাদের অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দার্শনিক ও গানের মানুষ হলো লালন ও হাসন। আমরা যেমন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করছি, নজরুলজয়ন্তী পালন করছি, তেমনি আমাদের হীনম্মন্যতা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত বলে আমি মনে করি।’

আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বক্তব্য দেন।

আরএইচ/

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শিলাইদহের কুঠিবাড়ি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন