ছবি: সংগৃহীত
গায়ের রং ‘ফর্সা’ করার চেষ্টা এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে থাইল্যান্ডের অনেক পুরুষ যেভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার চেষ্টা করছেন, তা শুনে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দেশটির ‘বিউটি ইন্ডাস্ট্রি’ আসলে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কী-না।
থাইল্যান্ডেও গায়ের রং ‘ফর্সা’ করার প্রবণতা দেখা যায় অনেক নারী-পুরুষের মধ্যে। পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার চেষ্টার কথা প্রথম জানা যায় ছয়-সাত বছর আগে। এই কয়েক বছরে দেশটিতে পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার বিষয়টি ‘জনপ্রিয়’ হয়ে ওঠেছে। তরুণরা ঝুঁকছেন বিষয়টির দিকে।
বিবিসি জানায়, প্রথমে একটি থাই হাসপাতাল অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করে, কীভাবে তারা পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার কাজটি করে। ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপর থেকে দেশটির একাধিক হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
কার্যক্রমটি প্রথম চালু হওয়া হাসপাতালের কর্মকর্তা পপল টানসাকুল বিবিসিকে জানান, তারা প্রথমে মেয়েদের যৌনাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার সার্ভিস শুরু করেন। এরপর অনেকে তাদের কাছে জানতে চান, পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার সার্ভিস পাওয়া যাবে কী-না। পরে তারা সেটাও চালু করেন।
পপল জানান, ‘বিশেষ করে, সমকামী ও ট্রান্সভেস্টাইটস মানুষদের মধ্যে এটি বেশি জনপ্রিয়। তারা শরীরের সব অংশকে আকর্ষণীয় রাখতে চান।’
এভাবে পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করেছেন- এমন একজনের সঙ্গে কথা বলে বিবিসির থাই সার্ভিস। তিনি এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, সুইমিং কস্টিউম পরে তিনি যখন সাঁতারে যান, তখন তিনি আরও বেশি ‘আত্মবিশ্বাসী’ বোধ করতে চান।
৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি প্রথম পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করতে থাইল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে যান। তিনি দাবি করেন, তার পুরুষাঙ্গটির রং ইতোমধ্যে নিশ্চিতভাবে ‘ফর্সা’।
জানা যায়, মূলত লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কাজটি করা হয়। মানুষের ত্বকে যে মেলানিন থাকে, লেজার দিয়ে তা ধ্বংস করা হয়।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে যৌনাঙ্গ ও পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার এই প্রবণতার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। তারা বলছে, এর ফলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া ও দাগ পড়া, এমনকি বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
থাইল্যান্ডের অনেক পুরুষ পুরুষাঙ্গ ‘ফর্সা’ করার পক্ষে নন। তাদের মত, ‘এটা করতে হবে কেন? পুরুষাঙ্গ কি টর্চলাইট নাকি যে, উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে থাকবে?’
এইচ.এস/