শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের হাকিমপুরে প্রথমবারই তরমুজ চাষে চমক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ২৪শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মৌসুমি ফল তরমুজ। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। এখন মে, জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসেও রসালো এই ফল বাজারে পাওয়া যাবে। হাকিমপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো এবার অসময়ের তরমুজ চাষ হয়েছে। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন সোহেল রানা নামের এক যুবক। তাকে দেখে স্থানীয় অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সোহেল রানা (৩৫) উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত তোসাদ্দেক হোসেনের ছেলে। তিনি বলেন, ইউটিউব দেখে বাড়ির পাশের পৌনে দুই বিঘা জমিতে মাচা তৈরি করে অসময়ের তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এর মধ্যে একটি হলুদ, আরেকটি কালো এবং তৃতীয়টি সবুজ বর্ণের। ধানের চেয়ে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় সামনের দিনে বৃহৎ পরিসরে চাষ করবো।

রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে মাচান পদ্ধতিতে তিন জাতের তরমুজের আবাদ করেছেন সোহেল। এখন মাচায় ঝুলছে হলুদ, কালো এবং সবুজ বর্ণের ফলন। সেগুলো পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রামের কৃষকরা চাষ পদ্ধতি দেখতে আসছেন। পরামর্শ নিচ্ছেন। আগামীতে চাষের কথা জানিয়েছেন তারা।

আরো পড়ুন : যেভাবে ধানের বীজ সংরক্ষণ করবেন

প্রথমবারেই ফলন ভালো হয়েছে জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘আমি গ্রামের এক মসজিদে ইমামতি করি। পাশাপাশি অন্য কিছু করার চিন্তা থেকে ইউটিউবে তরমুজ চাষ দেখে আগ্রহী হই। বাড়ির পাশের পৌনে দুই বিঘা জমিতে মাচা তৈরি করে হলুদ, কালো ও সবুজ রঙের তরমুজ চাষ করেছি। গাছগুলোতে ফল ধরেছে। ফলের ভারে মাচা ছিঁড়ে পড়ার অবস্থা। তাই মাচা ঠিক করছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত করতে পারবো। আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো আয় হবে বলে আশা করছি।’ 

চাষাবাদে এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘গাছে যে ফলন আছে, তাতে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো। হলুদ ও সবুজ তরমুজের কেজি ৩০-৪০ এবং কালোটার ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এই বাজার দর থাকলে ভালো আয় হবে। এক বিঘায় ধান চাষ করে লাভ হয় সর্বোচ্চ ছয়-সাত হাজার টাকা। বিপরীতে তরমুজ চাষে লাখ টাকার ওপরে লাভ হয়। আগামীতে বড় পরিসরে চাষাবাদ করবো।’

প্রতিদিন চাষ পদ্ধতি দেখতে কৃষকরা আসছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। সোহেল রানার ক্ষেতে কর্মরত শ্রমিক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সোহেল রানা তরমুজ চাষ করায় আমার মতো ১০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমরা ক্ষেতের পরিচর্যা, তরমুজে জালি পরানোসহ সব কাজ করছি। যে হারে গাছে ফল ধরেছে, তাতে বেশ ভালো ফলন হবে।’

এস/ আই.কে.জে/

তরমুজ চাষ

খবরটি শেয়ার করুন