ছবি: সংগৃহীত
গত ১২ বছর ধরে বিসিএস পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৪ই জুলাই) মানবাধিকার সংস্থা ‘ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
সরকারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না পেলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার পল্লব। জনস্বার্থে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। নোটিশে পিএসসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৮ই জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে সৈয়দ আবেদ আলী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ওরফে সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদের ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার ১৭ জনের মধ্যে কয়েকজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিএসসির প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট
জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, প্রশ্নপত্র চাকরিপ্রার্থীদের হাতে দেওয়া হতো না। পরীক্ষার আগের রাতে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় নিরাপদ জায়গায় (চক্রের সদস্যদের ভাষায় বুথ) রাখা হতো। রাজধানীর পল্টনে একটি গোডাউনে চাকরিপ্রার্থীদের জড়ো করা হতো। সারারাত প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করিয়ে সকালে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হতো।
সর্বশেষ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার ৪৬ জন প্রার্থীকে রাজধানীর পল্টনের একটি পানির ফিল্টারের গুদামে রাখা হয়েছিল। বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এই চক্রটি ২০০২ সালে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে শুরু করে সর্বশেষ ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস করেছে বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি পিএসসির অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন ক্যাডার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তারা ফাঁস করেছে।
এসি/কেবি