শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মালিক-ডি ভিলিয়ার্সদের ফাইনাল আজ, খেলা দেখবেন কোথায় *** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ

মাংস ও দুধের জন্য বিটল ছাগল পালন অনেক লাভজনক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫০ অপরাহ্ন, ১০ই আগস্ট ২০২৪

#

ছবি-সংগৃহীত

দেশে বিভিন্ন ধরনের ছাগল পালন করা হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করা হলেও এখন বিটল ছাগলের চাহিদাও বাড়ছে। বেশি পরিমাণে দুধ এবং মাংসের জন্য এই জাতের ছাগল পালনে উৎসাহ প্রকাশ করছেন পশুপালকরা। এ জাতটি নিজেদেরকে পরিবেশ এবং জলবায়ুর সাথে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে।

দুধ এবং মাংস, এই দুই-এর জন্য দেশে ছাগলের চাহিদা প্রচুর। বিটল ছাগল ভারতের একটি জাত। জামুনপুরী ছাগলের সাথে এর বেশ মিল রয়েছে। এরা দুধ উৎদনশীল প্রজাতির ছাগল।

শারীরিক গঠন

শারীরিক গঠনের জন্য সহজেই এদের আলাদা করে চিনতে পারা যায়। এদের পা লম্বা, কান ঝোলানো প্রকৃতির। লেজও তুলনামূলকভাবে ছোট এবং এদের সিং মোড়ানো অবস্থায় থাকে। দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এই জাতের ছাগল। লম্বা আকারের পা এবং কান। এ ছাগলের মাথা একটি রোমান নাকযুক্ত বৃহদায়তন এবং বিস্তৃত।

বিটল ছাগলের বৈশিষ্ট্য

এদের দুগ্ধ প্রদানের ক্ষমতা দৈনিক গড়ে প্রায় ২.৫ থেকে ৪ লিটার। ছেলে বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৫০-৬০ কেজি এবং মেয়ে বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৩৫-৪০ কেজি হয়। মূলত খাদ্য হিসেবে চারণ ভূমি ব্যবহার করা হয়। এরা প্রায় সব ধরনের গাছপালা, পাতা, ঘাস খেয়ে থাকে। তবে বেশি দুধ ও মাংসের জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে এদের। মেয়ে ছাগল ২০-২২ মাস বয়সে প্রথমবারের মতো বাচ্চা জন্ম দেয়।

আরও পড়ুন: একই জমিতে কলা ও পাতাকপি চাষে লাভবান কৃষক

বিটল ছাগলের পরিচর্যা

এদের ভালো রকম পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। যদিও এরা সব ধরনের আবহাওয়াতে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম। গর্ভবতী বিটল ছাগলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো স্থানে রাখতে হয়। ৬-৮ সপ্তাহ আগে দুধ নেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এদের ভালো মানের ভালো সুষম ও পুষ্টিকর খাবার দরকার। পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিষ্কার ও তাজা পানি সরবরাহ করতে হবে।

বিটল ছাগলের ঘর

বিটল ছাগল সাধারণত শুষ্ক জায়গা পছন্দ করে। তাই সুস্থ ও উৎদনশীল রাখার জন্য ছাগলটির ঘর সবসময় শুষ্ক ও পরিষ্কার রাখা জরুরি। সাধারণভাবে ছাগলটি দিনে ও রাতে শুকনো এবং আরামদায়ক ঘরে রাখলে সেগুলি আরও বেশি উৎপাদন করবে।

বিটল ছাগলের বাচ্চার যত্ন

বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর স্বচ্ছ সূক্ষ্ম কাপড়ে একে পরিষ্কার করতে হবে। এর নাক, মুখ, কানের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। জন্মের পর যদি বাচ্চার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা এই জাতের ছাগলের কোনও রোগের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

বিটল ছাগলের প্রজনন

একটি পুরুষ বিটাল ছাগল ১২-১৫ মাস বয়সে পরিপক্ক হয়ে ওঠে। একটি ছাগী ২০-২২ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা প্রসব করে। প্রতি বছর ছাগী এক জোড়া করে বাচ্চা দেয়।

বিটল ছাগলের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা যেমন বেশি, তেমনই বেশি মাংসের জন্য এদের বাণিজ্যিক মূল্যও বেশ চড়া। তাই পশুপালকদের কাছে ধীরে ধীরে এই জাতের ছাগলের চাহিদা বাড়ছে।

এসি/ আই.কে.জে/


লাভজনক বিটল ছাগল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন