ছবি: সংগৃহীত
একই খরচে কলার সাথে পাতাকপি আবাদে অতিরিক্ত খরচ না হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন মেহেরপুরের কৃষকরা। জেলায় সবরি-সহ বিভিন্ন জাতের কলার ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া, আমদহ, রঘুনাথপুর, আমঝুপি, উজ্জলপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে-মাঠে দেখা মেলে সাথী ফসল হিসেবে কলার সাথে কপি চাষের চিত্র। লাভজনক এ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জেলাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। ইতোমধ্যেই আগ্রহী কৃষকরা তাদের চাষের পরিমাণও বাড়াচ্ছেন।
কৃষকরা বলেন, এক খরচেই কলা ও কপি চাষ হয়ে যায়। কপি বিক্রি করে চাষের খরচ উঠে আসে। বিনা খরচে কলা চাষ হয়ে যায়। মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া, মনোহরপুর, কুলবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোভিপুর, হরিরামপুর, আমদহ, মোনাখালীসহ মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে কলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে শীতের সবজি পাতাকপি চাষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে পুঁইশাকের চারা তৈরি করবেন যেভাবে
বামনপাড়া গ্রামের কৃষক মো. সাদিকুল গণমাধ্যমকে বলেন, এবার ১ একর জমিতে সবরি কলা চাষ করেছি। তার সাথে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে চাষ করেছি পাতাকপি। গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে কলার সাথে পাতাকপির চারা রোপণ করি। বর্তমানে পাতাকপি বাজারজাতের সময় হয়েছে। কপি বিক্রি করেই কলা চাষের খরচ উঠে আসবে। ফলে কলা চাষে কোনো খরচ হচ্ছে না।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ গণমাধ্যমকে বলেন, এক সঙ্গে একাধিক সাথী ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করতে প্রতিনিয়ত নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই খরচে দুটি ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষক আগ্রহী হয়ে সাথী ফসল চাষে নেমেছে।
এসি/ আই.কে.জে/