রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

রাইসির মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৭ অপরাহ্ন, ২৩শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে দুর্ঘটনা-পরবর্তী বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। তবে এবার এই উদ্ধার অভিযান নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ তুর্কি ড্রোনের মাধ্যমে নয়, শনাক্ত করা হয় ইরানের নিজস্ব ড্রোনের মাধ্যমে।

দেশটির সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পরপরই তুরস্ক উদ্ধার অভিযানে নিজস্ব ড্রোন পাঠালেও সেটি হেলিকপ্টারের সঠিক অবস্থান শনাক্তে ব্যর্থ হয়। যদিও তুর্কি ড্রোনে নাইট ভিশন ও থার্মাল ইমেজ সেন্সর প্রযুক্তি ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত শনাক্তকরণ যন্ত্রপাতি ও ঘন মেঘের নিচ থেকে কোনো বস্তুকে নির্দিষ্ট করার ঘাটতি ছিল তুর্কি ড্রোনে।

ইরানি সেনাবাহিনী আর জানায়, দুর্ঘটনার পরপর ইরানের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার প্রযুক্তি সম্পন্ন ড্রোনগুলো ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে মোতায়েন করা ছিল। ফলে সে সময় তুর্কি ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়।

ইরানের গ্রাউন্ড রেসকিউ ফোর্স ও ভারত মহাসাগর থেকে ফিরিয়ে আনা ড্রোনের সাহায্যে পরবর্তীতে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন: মাশাদে রাইসিকে দাফন করা হবে আজ

এসএআর প্রযুক্তির মাধ্যমে দিন কিংবা রাতে পৃথিবী পৃষ্ঠে থাকা কোনো বস্তু শনাক্তে একটি মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল পাঠানো হয়। ফিরতি সিগন্যালের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর টুডি অথবা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়।

যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ শনাক্তে সফল হয়েছিল তুরস্কের তৈরি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আকিনচি ড্রোন। তুর্কি ড্রোনের সফল শনাক্তের পরই ঘটনাস্থলে যায় ইরান রেড ক্রিসেন্ট ও উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

ড্রোন অভিযান নিয়ে বিতর্ক তৈরি করলেও তুরস্ক, চীন ও রাশিয়ার মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানায় ইরান। ইরানের সেনাবাহিনী জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই এসব দেশের কাছে সাহায্য চেয়ে বার্তা পাঠানো হয় তেহরানের পক্ষ থেকে।

সূত্র: ইরনা

এইচআ/  


সেনাবাহিনী রাইসির মৃত্যু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250