মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ওয়ারীতে জনপ্রতিরোধে বাঁচল কিশোরের প্রাণ *** মিটফোর্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার মাহিনের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের ছবি, বিএনপির কারো নয়: মির্জা আব্বাস *** লক্ষ্য একটাই, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন: মির্জা ফখরুল *** ফিল্ম ফেডারেশনের সভাপতি মসিহউদ্দিন শাকের *** এ সরকারের শাসনামলেই জুলাই গণহত্যার বিচার হবে: আসিফ নজরুল *** আগামী বছরের হজের রোডম্যাপ প্রকাশ সৌদি আরবের *** ৩৫ শতাংশ শুল্ক নিয়ে তৃতীয় দফায় আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ *** পাকিস্তানে ইমরান খানের দলের ভাগ্য নির্ধারণ ৯০ দিন পর! *** গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের অবদানকে যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি: আলী রীয়াজ *** দেশে বড় ধরনের সহিংস অপরাধের সংখ্যা বাড়েনি, দাবি প্রেস উইংয়ের

এক অভিভাবকের কাছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের দুঃখ প্রকাশ

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

রাজু আহমেদ

এসএসসি পরীক্ষার (২০২৫ সালের) ফলাফল প্রকাশের দিন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাল্টিমিডিয়া টিম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফল শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক উচ্ছ্বাস, প্রতিক্রিয়া এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে উদযাপন নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে। এর মধ্যে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনটি ভিডিও আমাদের ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়।

একটি ছিল মেয়েটির বাবা-মায়ের আনন্দ উদযাপন ও তাদের প্রতিক্রিয়া, আরেকটি মেয়েটির পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে, অন্যটি ওই শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়ার শর্ট ভিডিও। এর মধ্যে দুটি ভিডিও ব্যাপক ভিউ হতে থাকে। সেই সঙ্গে প্রচুর শেয়ার ও কমেন্টস। তবে আমরা লক্ষ্য করতে থাকি, মেয়েটির অসাধারণ সাফল্য ও চমৎকার প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে অনেকে তার বয়স এবং শারীরিক গঠন নিয়ে নেতিবাচক কমেন্টস করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে অনেকের কমেন্টস শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। নেতিবাচক এই প্রবণতা বাড়তে থাকায় আমরা রাতেই শর্ট ভিডিওটি সরিয়ে ফেলি। তখন সেটির ভিউয়ের সংখ্যা ছিল ৫ ঘণ্টায় ৫৬ লাখ। এরপর মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভিডিওটিতেও নেতিবাচক ও আপত্তিকর মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়।

এর মধ্যে আমরা জানতে পারি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের  দর্শকদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে মেয়েটি মানসিকভাবে আপসেট (মর্মাহত) হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই ভিডিও সরিয়ে ফেলি। তখন এটির ভিউ ছিল ১৫ ঘণ্টায় ৬২ লাখ। এরপর আমাদের ফেসবুক ও ইউটিউবে মেয়েটির আরো একটি ভিডিও ছিল। সেটিতে অবশ্য নেতিবাচক কোনো কমেন্টস ছিল না। ভিউও ছিল কম।

এক পর্যায়ে মেয়েটির বাবা আমাদের অফিসে (বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান কার্যালয়) চলে আসেন। আমাকে জানান, তার মেয়ে চাইছে না, তার কোনো ভিডিও থাকুক। সে মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই ভিডিওটিও সরিয়ে ফেলি। শুধু তাই নয়, আমাদের ভিডিওর কারণে অসাধারণ মেধাবী একটি মেয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ায় তার বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করি এবং ক্ষমা চাই।

মেয়েটির জন্য আমরা ছোট্ট একটি উপহার তার বাবার হাতে তুলে দেই। তিনি হাসিমুখে সেটি গ্রহণ করেন। ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে ভিডিও সরিয়ে ফেলেছি, এতে আমাদের কোনো গ্লানি নেই। 

বরং আমরা মনে করি, ভিডিওটি আপলোড করার আগেই আমাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এটা আমাদের জন্য একটা বড় রকম শিক্ষা। আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করতে চাই। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, সবার প্রতি এই অনুরোধ।

লেখক: উপসম্পাদক ও হেড অব মাল্টিমিডিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সাংবাদিকতা বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন