শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে: তাহের *** জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস *** নিহত ফিলিস্তিনিদের দেহ থেকে অঙ্গ চুরি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর *** খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: এ জেড এম জাহিদ *** নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

এক অভিভাবকের কাছে বাংলাদেশ প্রতিদিনের দুঃখ প্রকাশ

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

রাজু আহমেদ

এসএসসি পরীক্ষার (২০২৫ সালের) ফলাফল প্রকাশের দিন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাল্টিমিডিয়া টিম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সফল শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক উচ্ছ্বাস, প্রতিক্রিয়া এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে উদযাপন নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে। এর মধ্যে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে তিনটি ভিডিও আমাদের ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়।

একটি ছিল মেয়েটির বাবা-মায়ের আনন্দ উদযাপন ও তাদের প্রতিক্রিয়া, আরেকটি মেয়েটির পরীক্ষার প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে, অন্যটি ওই শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়ার শর্ট ভিডিও। এর মধ্যে দুটি ভিডিও ব্যাপক ভিউ হতে থাকে। সেই সঙ্গে প্রচুর শেয়ার ও কমেন্টস। তবে আমরা লক্ষ্য করতে থাকি, মেয়েটির অসাধারণ সাফল্য ও চমৎকার প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে অনেকে তার বয়স এবং শারীরিক গঠন নিয়ে নেতিবাচক কমেন্টস করতে থাকেন। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।

এর মধ্যে অনেকের কমেন্টস শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। নেতিবাচক এই প্রবণতা বাড়তে থাকায় আমরা রাতেই শর্ট ভিডিওটি সরিয়ে ফেলি। তখন সেটির ভিউয়ের সংখ্যা ছিল ৫ ঘণ্টায় ৫৬ লাখ। এরপর মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশের ভিডিওটিতেও নেতিবাচক ও আপত্তিকর মন্তব্য লক্ষ্য করা যায়।

এর মধ্যে আমরা জানতে পারি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের  দর্শকদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে মেয়েটি মানসিকভাবে আপসেট (মর্মাহত) হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই ভিডিও সরিয়ে ফেলি। তখন এটির ভিউ ছিল ১৫ ঘণ্টায় ৬২ লাখ। এরপর আমাদের ফেসবুক ও ইউটিউবে মেয়েটির আরো একটি ভিডিও ছিল। সেটিতে অবশ্য নেতিবাচক কোনো কমেন্টস ছিল না। ভিউও ছিল কম।

এক পর্যায়ে মেয়েটির বাবা আমাদের অফিসে (বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান কার্যালয়) চলে আসেন। আমাকে জানান, তার মেয়ে চাইছে না, তার কোনো ভিডিও থাকুক। সে মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই ভিডিওটিও সরিয়ে ফেলি। শুধু তাই নয়, আমাদের ভিডিওর কারণে অসাধারণ মেধাবী একটি মেয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ায় তার বাবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করি এবং ক্ষমা চাই।

মেয়েটির জন্য আমরা ছোট্ট একটি উপহার তার বাবার হাতে তুলে দেই। তিনি হাসিমুখে সেটি গ্রহণ করেন। ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে ভিডিও সরিয়ে ফেলেছি, এতে আমাদের কোনো গ্লানি নেই। 

বরং আমরা মনে করি, ভিডিওটি আপলোড করার আগেই আমাদের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এটা আমাদের জন্য একটা বড় রকম শিক্ষা। আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা করতে চাই। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন, সবার প্রতি এই অনুরোধ।

লেখক: উপসম্পাদক ও হেড অব মাল্টিমিডিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সাংবাদিকতা বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250