ছবি : সংগৃহীত
আপনার দিনটি যদি ডিটক্স রুটিন দিয়ে শুরু করেন তাহলে তা শুধু আপনার বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করবে না, বরং শক্তি বাড়াবে, হজমশক্তি উন্নত করবে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখবে। আপনি যদি শরীর পরিষ্কার করার জন্য প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায় খুঁজে থাকেন, তাহলে সকাল ৯টার আগে করার জন্য কিছু কাজ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. নারিকেল তেল ব্যবহার
ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার একটি প্রাচীন অনুশীলন যা আপনার মুখ এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। প্রায় ১০-১৫ মিনিটের জন্য আপনার মুখে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল ঘষলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর হতে পারে, মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ হেলথ সায়েন্সেস অনুসারে, তেল মৌখিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
সকালে কেন করবেন? আমাদের শরীর স্বাভাবিকভাবেই রাতারাতি ডিটক্সিফাই করে, এবং তেল মুখের মধ্যে জমে থাকা টক্সিনগুলোকে বের করে দিতে সাহায্য করে। দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এটি করা সহজ এবং এটি আমাদের শ্বাসকে সতেজ রাখে ও দাঁত পরিষ্কার বোধ করে।
২. গভীরভাবে শ্বাস নিন
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ভোরে অনুশীলন করলে তা ফুসফুসকে ডিটক্সিফাই করে, স্ট্রেস কমায় এবং আপনার রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে। সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম চেষ্টা করুন: ৪ সেকেন্ড গভীরভাবে শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ডের জন্য আপনার শ্বাস ধরে রাখুন এবং ৮ সেকেন্ডে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। আপনার মন এবং শরীর পরিষ্কার করতে এটি ৫-১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
আরো পড়ুন : ঝাল খেতে ভালোবাসেন? জেনে নিন কী হয়
৩. আদা-লেবু-পানিতে চুমুক দিন
আদা, লেবু ও এক গ্লাস হালকা গরম দিয়ে বিপাক শুরু করুন। লেবু একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার, এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং শরীরের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, আদা হজমে সাহায্য করে, ফোলাভাব কমায় এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
মধুর সঙ্গে গরম পানি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে। অর্ধেক লেবু ছেঁকে এবং এক কাপ গরম পানিতে এক টুকরো আদা থেঁতো করে এই সাধারণ পানীয়টি তৈরি করুন। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় পান করলে তা আপনার জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসবে।
৪. হালকা গরম পানিতে গোসল করুন
সকালে হালকা গরম পানিতে গোসল আপনাকে অনেকগুলো উপকারিতা এনে দিতে পারে। এটি সাইনাস পরিষ্কার করে, ছিদ্রগুলো খুলতে এবং ভালো সঞ্চালন বজায় রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত ডিটক্সিফাইং প্রভাবের জন্য ইউক্যালিপটাস বা ল্যাভেন্ডারের মতো প্রয়োজনীয় তেলের কয়েক ফোঁটা যোগ করুন।
হালকা গরম পানির বাষ্প আপনার শরীরের ঘাম থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়, যা সঠিক ডিটক্সিফিকেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ১০-১৫ মিনিটের এই গোসল একটি বড় পার্থক্য আনতে পারে, যা আপনাকে সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত করে।
৫. হাঁটা এবং যোগব্যায়াম
সকালের তাজা বাতাসে হাঁটা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ডিটক্স করার অন্যতম সহজ উপায়। এই কম-প্রভাবিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন উন্নত করে এবং স্বাস্থ্যকর হজম বজায় রাখে। সকালের সূর্যালোক সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ভিটামিন ডি এর একটি স্বাস্থ্যকর ডোজ দেয়। সকালে ছোট যোগব্যায়াম সেশন শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন