ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার। বাশার আল-আসাদের পতনের পর দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এখনো তেমন স্থিতিশীল হয়নি যে, এ ঋণ শোধ করতে পারবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব সিরিয়ার এ ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সৌদি আরবের এ পদক্ষেপ যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠন ও বিপর্যস্ত সরকারি খাতকে সহায়তার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের অনুদানের পথ প্রশস্ত করবে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের এ পরিকল্পনার কথা আগে প্রকাশিত হয়নি। গত ডিসেম্বরে আসাদ সরকারকে উৎখাতের পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন আহমেদ আল-শারা। এরপর তিনি একটি অন্তর্বর্তী সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। তবে এত কিছুর পর এবারই প্রথম সৌদি আরব সিরিয়াকে অর্থায়ন করছে বলে জানা গেছে। এর আগে সৌদি আরবকে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
অনেকে বলছেন, সৌদি আরবের এ পরিকল্পনা সিরিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সমর্থনের ইঙ্গিত। এর আগে দোহার একটি তহবিল আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার অনিশ্চয়তার কারণে আটকে গিয়েছিল।
কিন্তু গত মাসে কাতার জর্ডানের মাধ্যমে সিরিয়াকে গ্যাস সরবরাহের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এতে সিরিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, কাতারের এ পদক্ষেপে ওয়াশিংটনের অনুমোদন রয়েছে।
সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা অনুমানভিত্তিক বিষয়ে মন্তব্য করি না, তবে বিষয়টি দাপ্তরিক হলে ঘোষণা করা হবে।’ তবে সৌদি সরকারের মিডিয়া অফিস, বিশ্বব্যাংকের এক মুখপাত্র ও সিরিয়ার সরকারের এক কর্মকর্তার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধ করলে তারা কোনো সাড়া দেননি।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন