ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমেরিকায় আমদানি করা পণ্যের ওপর যে বিশাল শুল্ক আছে তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা হলেও এটি আর শূন্যের কোটায় আসবে না। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (২২শে এপ্রিল) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ মন্তব্যের আগে গতকাল মঙ্গলবার (২২শে এপ্রিল) আমেরিকার অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছিলেন, উচ্চ শুল্ক টেকসই নয়। এ ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ কমার (ডি-এসকেলেশন) আশা করছেন বেসেন্ট। এর পরপরই ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রথম বেসেন্টের মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরপরই আমেরিকার শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপি-৫০০ এর শেয়ার সূচক আড়াই শতাংশ বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২২শে এপ্রিল) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে পল অ্যাটকিন্সের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্যে ট্রাম্প শেয়ারবাজার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি টেকসই কি না তা নিশ্চিত করেননি ট্রাম্প। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমরা ভালোই করছি।’ এর আগে ট্রাম্প চীনের ওপর ১৪৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। জবাবে চীনও আমেরিকার পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রতি আমরা ‘খুবই সদয়’ আচরণ করব। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কঠোর না হয়ে খুব আনন্দে একসঙ্গে বসবাস করব এবং আদর্শভাবে একসঙ্গে কাজ করব।
শুল্ক আরোপের পর ট্রাম্প প্রশাসন জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা এবং মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু ট্রাম্প তার ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক প্রত্যাহার করার কোনো প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দেননি।
তবে গত সোমবার (২১শে এপ্রিল) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীন দৃঢ়ভাবে যেকোনো পক্ষের এমন চুক্তির বিরোধিতা করে যা চীনের স্বার্থের ক্ষতি করে।’
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন