ছবি : সংগৃহীত
স্বাস্থ্যের যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে শরীর তার সংকেত দেয়। এসব লক্ষণ বোঝা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন কিছু শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে যা মানুষ স্বাভাবিক মনে করে উপেক্ষা করে যায়। কিন্তু এসব একসময় মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। চলুন এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিই-
আঁচিলের রঙ বা আকৃতির পরিবর্তন
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে আঁচিল থাকা স্বাভাবিক। তবে এর আকার আর রঙ যদি ক্রমাগত পরিবর্তন হয় তবে তা ত্বকের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এই সমস্যাকে মেলানোমা বলা হয়। সবসময় আঁচিলের দিকে নজর রাখুন। যদি এগুলো চুলকায়, ক্ষত হয়, ফুলে যায়, আকার বা রঙে পরিবর্তন হয়, রক্তপাত দেখা দেয় কিংবা খসখসে হয়ে যায় তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন : উচ্চ রক্তচাপ প্রাকৃতিকভাবে কমাতে খান টমেটো
চোখের অস্বাভাবিকতা
দেহে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে কি না তা শনাক্ত করা যেতে পারে চোখের মাধ্যমে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। চোখে যদি সাদা রিং বা দাগ দেখা যায় তবে সেটি কর্নিয়াল আর্কাসের লক্ষণ যা চর্বি জমার কারণে হয়। এটি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির একটি উপসর্গ হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলো এতে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়া ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে।
সাদা জিহ্বা
আপনার জিহ্বা বের করুন এবং রঙ দেখুন। এটি যদি হালকা গোলাপি রঙা হয় তবে ঠিক আছে। কিন্তু আপনার জিহ্বার রঙ যদি সাদা বা হলুদ হয় তবে সতর্ক হোন। এটি সিলিয়াক রোগের লক্ষণ হতে পারে। এটি এমন একটি অটোইমিউন অবস্থা যখন শরীর গ্লুটেন হজম করতে পারে না। এই সমস্যা দেখা দিলে গ্লুটেন মুক্ত খাবার খেতে হবে। তাই নিয়মিত জিহ্বার রঙ পরীক্ষা করুন।
পা ফোলা
হঠাৎ করে যদি হাত-পা ফুলে যায়, ত্বক চুলকায়, ঘুমাতে সমস্যা হয় এবং ক্লান্ত বোধ হয়, তবে এগুলো কিডনি সংক্রান্ত রোগের কারণ হতে পারে। কিডনি যখন ঠিকমতো কাজ করে না তখন শরীরে সোডিয়াম বা লবণ ধারণ করতে পারে। ফলে হাত, পা ও গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। সোডিয়াম-জল অনুপাতের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য শরীরে অতিরিক্ত তরল পদার্থ যোগ হওয়ার কারণেই এমনটা হয়। তাই হাত-পা ফুলে গেলে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নখের রেখা
নখের মধ্যে কোনো রেখা দেখা গেলে তা এড়িয়ে যাবেন না। এটি থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষত সাদা রেখা। কখনও কখনও এই রেখাগুলি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন এ এর ঘাটতির একটি সতর্কতা সংকেত হতে পারে। শরীর সম্পর্কে সচেতন হোন। ছোটোখাটো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাবেন না। তাহলে বড় সমস্যা থেকে বাঁচা সহজ হবে।
এস/ আই.কে.জে