ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে তাদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। পরে দ্রুত পদক্ষেপে পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে পাওয়া সূত্রে আম্বেগাঁও-পাঠার এলাকায় আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দুজনের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০ বছর। খবর এনডিটিভির।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে—দুজনকেই ‘বিউটি পারলারের চাকরি’ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হয়। পরে তাদের দেহ ব্যবসার চক্রে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পুনের ধনকাওয়াদি এলাকার বাসিন্দা রজু পাটিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালত তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে এবং এই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহে তার স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি ‘অবৈধ পাচার প্রতিরোধ আইন’ (পিআইটিএ) এর অধীনে দায়ের করা হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে কাদের মাধ্যমে দুই বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মানসিক সহায়তা এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বপ্নিল পাটিল ও সিনিয়র ইন্সপেক্টর রাহুলকুমার খিলারে। তারা স্বল্প সময়ের মধ্যেই দুটি উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাই শুধু নয়—গত কয়েক মাসে বুধওয়ার পেথ, কাত্রজ ও আম্বেগাঁও এলাকায় একই ধরনের পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, অননুমোদিত এজেন্ট এবং স্থানীয় দালালদের যোগসাজশে গড়ে উঠছে এই নেটওয়ার্ক।
পুলিশ এই আন্তসীমান্ত পাচারচক্রের শিকড় চিহ্নিত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চায়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন