ছবি : সংগৃহীত
চিকিৎসায় গাফিলতি ও অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. খান মো. সাইদুজ্জামানের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন সনদ) ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এসময়ের মধ্যে তিনি কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে বিএমডিসি।
মঙ্গলবার (৭ই মে) বিএমডিসির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. খান মো. সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মোহাইমিন মোস্তফা (ধানমন্ডি) বাবার চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে কাউন্সিলে অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী ও চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। পরে কাউন্সিল তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
আরো পড়ুন : অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল কি না দেখতে হবে : ডা. সামন্ত লাল সেন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন কনসালটেন্ট চিকিৎসক হয়েও ‘গল ব্লাডার ক্যান্সার’ বিষয়টি জানার পরও তার ‘প্রেসক্রিপশন প্যাড’-এ তা উল্লেখ করেননি এবং রোগীর কোনো আত্মীয়-স্বজনকে গল ব্লাডার ক্যান্সারের বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। এটি নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধ এবং চিকিৎসা কার্যে চিকিৎসকের যথেষ্ট গাফিলতি ও অবহেলা ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ২৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিএমঅ্যান্ডডিসি থেকে প্রদত্ত তার রেজিস্ট্রেশন (A-15952 Date of Registration: 05.05.1987) ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। যা ৮ই মে ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী তার রেজিস্ট্রেশন স্থগিতকালীন চিকিৎসক হিসেবে কোথাও কোনও প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারবেন না। এমনকি নিবন্ধন স্থগিতকালীন তিনি চিকিৎসক হিসেবে পরিচয়ও দিতে পারবেন না বলে বিএমডিসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন