শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো *** পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ *** ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের *** ছয় মাসে কী সংস্কার করা হয়েছে, প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের *** ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ *** কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনা চলবে: আইএমএফ *** সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন স্থগিত করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট *** হিন্দু নারীর বিয়ে, বিচ্ছেদ, সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বিষয়ে পারিবারিক আইনে সংস্কার প্রযোজন

লিচুর মুকুলের ঘ্রাণে মেতে উঠেছে পঞ্চগড়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২২ অপরাহ্ন, ১২ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমে লিচুগাছে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। লিচুগাছের মুকুলের ঘ্রাণে গুঞ্জনে মেতে উঠেছে মৌমাছি।

এবারে গাছের এত মুকুল দেখে বাগান মালিকরা খুশি। এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা মুকুলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলেনি। সামনের দিনগুলোয় যতি প্রকৃতি সহায় থাকে তাহলে  লিচুর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো মুনাফা করতে পারবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। লিচু রসালো ফল। সব বয়সের জন্য এ পুষ্টিকর ফল খুবই প্রিয়।

জেলা কৃষি বিভাগের জরিপ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে দুই হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। লিচু গাছের সংখ্যা দুই লক্ষ। এর মধ্যে দেড় লক্ষ লিচু গাছের বয়স ১৫ বছরের বেশি। এছাড়াও জেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের বসতবাড়ি এবং আশপাশে রয়েছে বিপুল সংখ্যক লিচু গাছ। লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই পঞ্চগড়ে বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হেক্টর প্রতি লিচুর ফলন ৫২৫ টন ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন: ২৬ কোটি টাকার চাল কুমড়া বিক্রি হবে নেত্রকোনায়

লিচু বাগান মালিক আক্তার মাস্টার জানান তার ৬ বিঘা জমিতে রয়েছে লিচু বাগান। গাছ রয়েছে ২০০টি। গতবছর সব গাছে লিচু ধরেনি ,তাতেও দেড় লক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করেছে। এবারে তার সব গাছে ধরেছে মুকুল, লিচু বিক্রি করা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকলে থাকলে তিনি এবার ৩/৪ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। একই ধরনের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অপর লিচু বাগান মালিক আব্দুল মালেক। তারও রয়েছে ১২ বিঘা জমিতে লিচু ও আম বাগান।

জেলায় ৫ জাতের লিচু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী জাত, চায়না ২,৩,৪ এবং বোম্বে। চায়না ২,৩,৪ বাজারে চাহিদা ভাল থাকে। গত বছর চায়না ৩ জাতের লিচুর শ ছিল ৪শ থেকে ৫শ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নাইমুল হুদা জানান, কৃষকদের লিচু বাগানে সুষম সার প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, পাশাপশি কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে।

এসি/ আই. কে. জে/

পঞ্চগড় লিচুর মুকুল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন