শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৯ নম্বর, সহজেই সমাধান করা যাবে: পাকিস্তান-আফগান যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প *** ৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা *** ত্রিপুরায় পিটুনিতে নিহত তিন বাংলাদেশিকে ‘চোরাকারবারি’ বলল ভারত *** জাতীয়ভাবে লালন উৎসব উদযাপন অব্যাহত থাকবে: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী *** নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে রাজি বিএনপি *** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল

সূর্যের আয়ু আর কতদিন, জানালো নাসা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১০ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র নিয়েই সৌরজগত। যার প্রাণ সূর্য। এটি পৃথিবীর পাওয়ার হাউস। এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোথাও প্রাণের সন্ধান এ পর্যন্ত মেলেনি। অন্তত সৌরজগতের আর কোথাও যে প্রাণ নেই তা একরকম নিশ্চিত। কিন্তু সেই প্রাণও শূন্যে বিলীন হয়ে যাবে যদি সূর্য না থাকে। কাজেই পৃথিবীর জীবজগতের টিকে থাকার জন্য সূর্যের টিকে থাকাও একান্তই দরকার। কিন্তু এই মহাবিশ্বে সকলই ফুরায়। সূর্যও ফুরোবে নিশ্চিত। কিন্তু কবে? খোলসা করল নাসা।

তার আগে বলা যাক, কত পুরনো এই সূর্য? সৌরজগতের ‘কর্তার’ বয়স প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর। এত বছরের আয়ু সত্ত্বেও সূর্যকে ‘বুড়া’ বলা যাবে না। কেননা নক্ষত্রের নিরিখে এ নেহাতই তুচ্ছ সময়। সেদিক বিচার করলে বলা যায়, সূর্য এক মাঝবয়সি তারা। নাসার বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, সূর্য তার অর্ধেক আয়ুর কাছাকাছি পৌঁছেছে। তারা জানাচ্ছেন, সূর্য এখনও অন্তত ৫০০ কোটি বছর বাঁচবে।

কীভাবে মারা যাবে সূর্য? অন্য বহু তারার মতোই শক্তির অভাবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে এই নক্ষত্রটি। আদতে তো সেটি একটি উত্তপ্ত গ্যাসের বল। যা এক নাগাড়ে শক্তি বিকিরিত করে চলেছে। কোথা থেকে সে পাচ্ছে এই শক্তি? আসলে সূর্যের ভিতরে রয়েছে হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন পরমাণু মিলিত হয়ে তৈরি করে হিলিয়াম। আর এই রাসায়নিক প্রক্রিয়া থেকে প্রচুর শক্তি নির্গত হয়।

এভাবে চলতে চলতে একসময় ‘বুড়ো’ হবে সূর্য। সে হয়ে উঠবে ‘লাল দৈত্য’। এক অতিকায় লাল বল হয়ে তখন সে জ্বলে থাকবে আকাশে। তার পর সময় কাটলে সে ছোট হতে থাকবে। এই সময় সূর্য স্থিতিশীল থাকবে না একেবারেই। দ্রুত হারাবে ভর। 

এভাবে চলার পর তার বাইরের স্তরগুলোকে উড়িয়ে দেবে সূর্য। যদিও ভেতরের মূল অংশ অক্ষতই থাকবে। ঘন হয়ে সূর্য পরিণত হবে ‘শ্বেত বামনে’। সেই সময় সূর্যকে ঘিরে রাখবে এক গ্যাসের আস্তরণ। যাকে বলা হয় নেবুলা। এই অবস্থার শেষে ‘কালো বামন’ হয়ে পড়বে সূর্য। এখন যার উত্তাপের আঁচটুকু গরমকালে আমাদের অবস্থা হয় সঙ্গীন, সে তখন এক ঠান্ডা মহাজাগতিক অবশেষ মাত্র। 

তবে সেই অবস্থাটা ঠিক কেমন হবে, তা এখনই বলা কঠিন। কেননা বয়সের হিসেবে ব্রহ্মাণ্ড এখনও ‘নবীন’। তাই কোনও নক্ষত্রই ওই অবস্থায় পৌঁছায়নি। সুতরাং সূর্যের ‘শেষের সেদিন’ কেমন হবে তা জানতে এখনও ঢের বাকি। তবে সেই অবস্থা প্রত্যক্ষ করার জন্য যে মানুষ তখন এই গ্রহে থাকবে না তা বলাই যায়।

ওআ/ আই.কে.জে/

সূর্য

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250