বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা

‘পাশের বাড়ির মেয়ে’ হতে চেয়েছিলেন লোপেজ

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

অনেক বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে লাতিন আমেরিকান নারীদের যে কয়েকজন হলিউড আর বিশ্বসংগীতে ছড়ি ঘুরিয়েছেন, জেনিফার লোপেজ তাদের অগ্রগণ্য। লাইট-ক্যামেরার জগতে জেলো নামেও পরিচিত তিনি। আমেরিকার বিনোদনজগতে সবচেয়ে বেশি আয় করা শিল্পীদের একজন জেলো। গত দুই যুগে পপ কালচারকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন তিনি। তবে পেছনে তাকালে নানা বিষয়ে আক্ষেপে পোড়েন ৫৬ বছর বয়সী এই তারকা।

ভ্যারাইটি অ্যাওয়ার্ড সার্কিট পডকাস্টে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এই গায়িকা-অভিনেত্রী। দেশি দর্শকের কাছে অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজই আগে পরিচিতি পেয়েছেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া তার সুপারহিট সিনেমা ‘অ্যানাকন্ডা’ যে কতবার টিভি চ্যানেলগুলোয় সম্প্রচারিত হয়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। একবার কেউ এক ধরনের চরিত্রে সাফল্য পেলে তাকে নিয়ে সাধারণত সেই ঘরানার ছবিই হয়।

আর লোপেজের চেহারায় একটা ‘বুনো’ ভাবও ছিল। প্রযোজকরা তাই তাকে নিয়ে মূল ধারার অ্যাকশন সিনেমা করার কথাই ভেবেছেন বেশি। এটা নিয়েই তার বেশি আক্ষেপ। লোপেজ মনে করেন, লাতিন নারীদের সবাই কেবল প্রথাগত চরিত্রের জন্যই ভেবেছেন।

‘আমরা কি রোমান্টিক সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে পারি না? পাশের বাড়ির মেয়ে টাইপ চরিত্রের জন্যই কেউ ভাবেন না। কেন?’ আক্ষেপ নিয়ে জানতে চান লোপেজ।

এখন অবশ্য ধীরে ধীরে অবস্থা বদলাচ্ছে। তবে গতি ধীর। এ নিয়েও রসিকতা করেন লোপেজ, ‘সব ভালো জিনিস নাকি আস্তেধীরে হয়। এটাও তা–ই হচ্ছে। তবে যা হওয়ার, সেটা হলেই হলো।’

লোপেজের মা-বাবা দুজনই পুয়ের্তোরিকান। আমেরিকায় আসার পর তাদের পরিচয়। ছোটবেলায় লাতিন আমেরিকান প্রতিবেশীদের সান্নিধ্যে বড় হয়েছেন লোপেজ। বড় হওয়ার পর গান বা অভিনয়ে বারবারই নতুন কিছু করতে চেয়েছেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল তার ইমপোস্টার সিনড্রোম। এটা এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থা, যখন একজন মানুষ নিজের যোগ্যতা বা অর্জনকে সন্দেহের চোখে দেখে, নিজেকে মনে করে অযোগ্য। মনে মনে লোপেজের ভয়, অন্যরা হয়তো তার অযোগ্যতা জেনে যাবেন।

সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন লোপেজ। তাঁর ভাষ্যে, ‘ইমপোস্টার সিনড্রোম সত্যিই এক জটিল ধাঁধা। আপনি যখন ভিন্ন কোনো পরিবেশ থেকে আসবেন, এটা দ্বিধা তৈরি করবে। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। মনে হতো, আমি কি এটা পারব? একে সরিয়ে আমাকে জায়গা করে নিতে হবে, সে জন্য হয়তো আমার যোগ্যতা নেই, এমনও মনে হতো।’

জে.এস/

হলিউড হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন