ছবি : সংগৃহীত
ঋতুর পরিবর্তন ঘটেছে। আর পরিবর্তনের সময় শিশুদেরকে সুস্থ রাখাটাও অভিভাবকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা এখন উচ্চ মাত্রায় বাড়ছে। যা শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
গরমে হিটস্ট্রোক, সানবার্ন, ডিহাইড্রেশন’সহ তাপ-সম্পর্কিত ব্যাধিগুলো এ সময় শিশুদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই তাপমাত্রা ওঠানামা করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তীব্র গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে কীভাবে তার যত্ন নেবেন জেনে নেওয়া যাক-
ভরদুপুরের রোদ এড়িয়ে চলুন
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সূর্য সবচেয়ে শক্তিশালী, তাই সম্ভব হলে এই সময়ে শিশুকে নিয়ে বাইরে বের হবেন না। যদি কোনো কারণে শিশুকে স্কুলে বা কোথাও নিয়ে যান তাহলে তার ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে নিন। আর বাইরে থাকাকালীন পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
আরামদায়ক পোষাক
এই গরমে উপযুক্ত পোশাক না পরালে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। হালকা, নরম ও সুতির কাপড় গরমে ঠান্ডা ও আরামদায়ক থাকতে সাহায্য করতে পারে। তুলোর মতো হালকা ওজনের, নিঃশ্বাস নেওয়া যায় এমন কাপড় পরান শিশুকে। শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় টুপি ও সানগ্লাস পরিয়ে নিন।
বেশি দৌড়াদৌড়ি করতে দেবেন না
এই গরমে শিশু যদি বাইরে খেলতে যেতে চায়, তাহলে তাকে বলুন ধীরে ধীরে খেলা করতে। গরমে হঠাৎ করে বেশি দৌড়াদৌড়ি বা লাফালাফি করলে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাতে হবে
গরম আবহাওয়ায় শিশুকে বেশি করে তরল খাবার খাওয়াতে হবে। মনে করে শিশুদেরকে ঘন ঘন পানি পান করাতে হবে। যদি তাদের পিপাসা না লাগে, তবুও পানি পান করান কোনো না কোনো ছলে। পানি পান করতে না চাইলে টাটকা ফলের রস পান করাতে হবে।
আরো পড়ুন : রোজা রেখে মাথা ব্যথা হলে কী করবেন?
ঘর ঠান্ডা রাখুন
ঘর ঠান্ডা রাখতে বিভিন্ন পদ্ধতি এ সময় অবলম্বন করতে পারেন। ঘরে এয়ার কন্ডিশনার না থাকলে টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বড় পাত্রে বরফ রাখুন। বাতাস ঠান্ডা হয়ে ছড়িয়ে পড়বে ঘরে। এছাড়া ঘরে ইনডোর প্লান্ট রাখলেও কিছুটা ঠান্ডা থাকবে পরিবেশ।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান
গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর সব খাবার খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুর শরীর ঠান্ডা রাখবে এমন খাবার খাওয়াতে হবে তাকে। তাহলে শিশু সুস্থ থাকবে। মৌসুমী ফল ও শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে হবে শিশুকে।
অতিরিক্ত গরমে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে
গরমজনিত অসুস্থতার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে পেশীতে খিঁচুনি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া। আপনি যদি এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি দেখতে পান, তাহলে শিশুকে একটি শীতল জায়গায় নিয়ে যান ও ডাক্তার দেখান।
জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকুন
এই গরমে জরুরি যখন তখন হতে পারে হিট স্ট্রোক বা হিট ক্র্যাম্প। তাই সব সময় প্রস্তুত থাকুন। ঘরে নিকটস্থ হাসপাতালের ফোন নম্বর রাখুন। এছাড়া কিছু মেডিকেল কিট ঘরে রাখুন। যাতে প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতে পারেন।
সূত্র: শিফা ইন্টারন্যাশনাল প্যাশেন্টস
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন