ছবি : সংগৃহীত
আকাশজুড়ে রং-বেরঙের আলোর ঝলকানি। লাল, সবুজ, গোলাপী, নীলের মতো বাহারি রঙের নিচে চাপা পড়ে রাতের অন্ধকার। স্থানীয় সময় রোববারও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখা গেছে বিরল ‘মেরুজ্যোতি’র খেলা। অপরুপ এই ‘অরোরা’র সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়েছেন জাপান, চীন, ভারত, স্পেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দারা।
রোববার (১২ই মে) চীনের আকাশে হঠাৎই দেখা মেলে চোখ ধাঁধানো বর্ণিল এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারা উপভোগ করেন বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। জাপানের উত্তরাঞ্চল থেকেও অরোরার সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করেছেন বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, ভারতের লাদাখের আকাশেও ধরা দেয় মনোরম আলোকছটার বিরল এ দৃশ্য। স্পেনেও গোলাপি বেগুনি রংয়ের মিশেল দেখতে পান স্থানীয়রা। বাদ যায়নি রাশিয়া, সুইজারল্যান্ডও।
রঙিন আলোর মেলা দিগদিগন্তে ছড়িয়ে পড়ার কারণ শক্তিশালী সৌরঝড়। দুই দশকের বেশি সময় পর গত শুক্রবার (১০ই মে) পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার পরই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশের আকাশজুড়ে বর্ণিল রং দেখতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : প্রতারণার ভয়াবহ ফাঁদ ডেটিং অ্যাপ
দৃষ্টিনন্দন এসব আলো সাময়িকভাবে চোখের তৃপ্তি হলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন সূর্যের বিরাট অংশ বিপুল সক্রিয় থাকায় সেখান থেকে ক্রমশ চৌম্বক শক্তি বেরিয়ে আসছে। এতে মহাকাশে স্যাটেলাইটগুলো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, সূর্য থেকে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাসের সঙ্গে সংঘর্ষে যখন লিপ্ত হয়, তখন একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন আকাশে দেখা যায়। বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশন বা ব্যাপক জ্যোতির্বলয় নির্গমনের ফলে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্লাজমা ও চৌম্বকক্ষেত্রের উদগীরণ হয়। পরে তা পরিণত হয় প্রচণ্ড ভূচৌম্বকীয় ঝড়ে। ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাবে আকাশে সবুজাভ আলো দেখা যায় যা অরোরা হিসেবে পরিচিত।
২০০৩ সালের অক্টোবরে ‘হ্যালোইন স্টর্ম’র পরে পৃথিবীতে এত শক্তিশালী সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা এটিই প্রথম।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন