ছবি: সংগৃহীত
শনিবার (২২শে জুন) মাদারীপুর থেকে বরগুনার আমতলীতে বউভাত খেতে আসার পথে বরগুনার আমতলীর চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের মাঝামাঝি হলদিয়া ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে খানসহ ১০ জন নিহত হন। দুর্ঘটনায় রাইতি খান নিহত হলেও বেঁচে ফিরেছে রাইতি খান-সোহেল দম্পতির শিশুকন্যা সাবরিন।
আরো পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গেল সুইডেনে
শিশু সাবরিনের বাবা সোহেল খান গণমাধ্যমকে জানান, সাবরিনের মা রাইতিসহ তাদের আত্মীয়স্বজনদের ১৬ জন একটি মাইক্রোবাসে ছিল। সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিল রাইতি তখন কোল থেকে সাবরিনকে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেন।
পেছনে একটি অটোতে সোহেলসহ দুজন আত্মীয় ছিল। তারাও পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। সোহেল কোনোভাবে সাঁতরে ওপরে উঠে আসার সময় কচুরিপানার ওপর তার চোখ পড়ে। দেখেন ওই কচুরিপানার ওপর সাবরিন। সঙ্গে সঙ্গে নিজের সন্তানকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন তিনি।
সোহেল খান আরও বলেন, এভাবে আমার সবকিছু কেড়ে নিলো আল্লাহ। ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাঁচব।
এইচআ/