ছবি - সংগৃহীত
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) যানজট নিরসনে নানা উদ্যোগের পরও শতভাগ সফলতা দেখা যায়নি। তবে অসহনীয় যানজট থেকে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ট্রাফিক বিভাগের নতুন নতুন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন থেমে নেই। বিশেষজ্ঞদের ভাবনায়ও আসছে সময়োপযোগী বিভিন্ন পরিকল্পনা। এর ধারাবাহিকতায় যানজট নিরসনে আগামী ৬ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলট আকারে) ঢাকা শহরের চারটি ইন্টারসেকশনে দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া গেলে আগামী চার মাসের মধ্যে রাজধানীর আরো প্রায় ২০টি ইন্টারসেকশনে দেশি প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে দেশি প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে আপাতত সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন। যোগাযোগ করলে তিনি সুখবর ডটকমকে বলেন, 'যানজট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনার আলোকে ওই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।'
জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ৯ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাজধানীর বাসিন্দাদের যানজটের ভোগান্তি দূর করতে করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। কীভাবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যায়, দ্রুত যানজট সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, কী কী পদক্ষেপ নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে- বৈঠকে এসব জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে আরো দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
ঢাকার যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি ইসহাক দুলাল মনে করেন, 'রাজধানীর যানজট নিরসনে খাল দখলমুক্ত করে নৌপথ নির্মাণ, রেলপথ ঘেঁষে চক্রাকার সড়ক নির্মাণ, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইন উড়ালপথে নির্মাণ, ঢাকার অভ্যন্তরে থাকা বাস টার্মিনালগুলো স্থানান্তর, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর দুটি অঞ্চলে ভাগ করে কারাগার ও আদালত ভবন এক জায়গায় এবং ঢাকা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যের বিভিন্ন জেলায় রেলপথ চালু করলে যানজট কমবে।'
তার মতে, 'রাজধানীর ভেতরের ফুটপাত ও সড়ক হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলমুক্ত, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং নগর পরিবহন চালু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে ব্যক্তিগত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।'
আই.কে.জে/