কানাডার কানানাস্কিসে বসছে এবার জি-৭ সম্মেলনের আসর। ছবি: সংগৃহীত।
আগে থেকেই অনুমেয় ছিল, কানাডায় আয়োজিত এবারের জি৭ সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে যুদ্ধ। বিশ্বনেতারা ভেবেছিলেন, এবারের সম্মেলনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আরোপকে ঘিরে যে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে পাল্টে গেল চিত্র। আলবার্টার রকি পর্বতমালায় তিন দিনের এ সম্মেলনের কেন্দ্রে চলে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি। খবর বিবিসি ও এএফপির।
জি-৭ ভুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর এ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্য সব আলোচনা চাপা পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েলের ইরানে হামলা থেকে সৃষ্ট সংঘাত কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেই আলোচনার আড়ালে। অন্যান্য আলোচনার মতো এ আলোচনায়ও ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও জাপান, আমেরিকাকেষ্ট্রকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে।
ইসরায়েল এ হামলা হয়তো আমেরিকার সরাসরি সমর্থন ছাড়াই চালিয়েছে, কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্টই একমাত্র নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর প্রকৃত চাপ প্রয়োগ করতে পারেন।
আজ রোববার (১৫ই জুন) স্থানীয় সময় কানাডায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে জি৭ নেতাদের। তারা ভালোভাবে জানেন, এ সংঘাত যদি আরও ঘনীভূত হয়, যদি এতে অন্য দেশগুলো জড়িয়ে পড়ে এবং যদি এর প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়, তবে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করবে।
তবু একটি অভিন্ন অবস্থানে পৌঁছাতে নেতারা হিমশিম খেতে পারেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মতো কিছু নেতা ইতিমধ্যে সংযম এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ইসরায়েলের এ হামলাকে ‘অসহনীয়’ ও ‘চরম অনুশোচনামূলক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন