বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: প্রথম আলো *** একুশের বইমেলা ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু *** তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিএনপির কমিটি *** এস আলমকে নিয়ে গভর্নর বললেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ *** গোলাম আযম জাতির 'শ্রেষ্ঠ সন্তান' হলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান কোথায়—প্রশ্ন মির্জা আব্বাসের *** শুরু থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ‘টানাপোড়েন আছে’— এটা বাস্তবতা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড *** অপারেটর করলেন ভুল, ক্যারি করলেন সেঞ্চুরি *** উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার বাংলাদেশি হুমকি সহ্য করা হবে না: আসামের মুখ্যমন্ত্রী *** আমাদের ‘নসিহত’ করা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে উপদেশ চাই না: তৌহিদ হোসেন

সৌদি আরবে বাড়ছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি, নজরে উপসাগরীয় দেশগুলোও

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫

#

বাংলাদেশের একটি তৈরি পোশাক কারখানা। ছবি: এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এমনটাই জানিয়েছেন এ শিল্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা। তারা সৌদি আরবকে তাদের পণ্যের অন্যতম বড় বাজার হিসেবে দেখার পাশাপাশি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকেও (জিসিসি) বাজারে পরিণত করার বিষয়টি মাথায় রেখেছেন। খবর আরব নিউজের।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা। উপসাগরীয় অঞ্চলে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে সৌদি আরবকে অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাত। চীনের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এ খাত থেকে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫২ মিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আখতার হোসেন অপূর্ব জানিয়েছেন, সৌদি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে টি-শার্ট ও জিনসের মতো পণ্যের। তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘জিসিসি অঞ্চলে, বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’

সৌদি আরবে যেসব ইউরোপীয় বড় ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে, তারা বাংলাদেশি পোশাক উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সরাসরি সৌদি বন্দরে পণ্য পাঠানোর অর্ডার দেয়। অপূর্ব বলেন, ‘আমরা পাইকারি ক্রেতাদের কাছে রপ্তানি করি, পরে তারা সৌদি আরবসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করেন। মূলত সৌদি নাগরিকরাই এসব পোশাক কিনছেন।’

সৌদি আরবে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৪ মিলিয়ন ডলার থেকে অনেক বেশি। তখন করোনা মহামারির কারণে উৎপাদনে ধস নেমেছিল।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের পোশাক রপ্তানির জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। কারণ, সেখানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।’

রুবেল বলেন, ‘তবে আমাদের লক্ষ্য গ্রাহক কেবল প্রবাসী বাংলাদেশিরা নন, সৌদি নাগরিকরাও। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পোশাক তৈরি করে, আর সৌদিদের রুচিও ভালো, তারা খরচ করতেও সক্ষম...তারা সাধারণত ইউরোপ ও আমেরিকার নামী ব্র্যান্ডের পোশাক কিনে থাকেন।’

রুবেল মনে করেন, সৌদি বাজারে উচ্চমানের পোশাক ও স্থানীয় বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। ইউরোপ ও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সময়ের দাবি।’

সৌদি আরবে পোশাক রপ্তানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250