বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দেশি-বিদেশি ফলের উৎপাদন দেশে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে *** জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি তদারকি করবে ইসির উচ্চপর্যায়ের পাঁচ কমিটি *** উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের খসড়া অনুমোদন *** ফের গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল *** আজীবন গোল্ডেন ভিসার খবরটি গুজব, জানাল আরব আমিরাতের সরকার *** দুই জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা *** নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে: মির্জা ফখরুল *** মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে ‘রাজসাক্ষী’ হলেন সাবেক আইজিপি মামুন *** ইতিহাস গড়ে মেসির অন্য রকম ‌‌‘সেঞ্চুরি’ *** ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসিতে শতভাগ পাস

সৌদি আরবে বাড়ছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি, নজরে উপসাগরীয় দেশগুলোও

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪০ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫

#

বাংলাদেশের একটি তৈরি পোশাক কারখানা। ছবি: এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এমনটাই জানিয়েছেন এ শিল্প সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা। তারা সৌদি আরবকে তাদের পণ্যের অন্যতম বড় বাজার হিসেবে দেখার পাশাপাশি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকেও (জিসিসি) বাজারে পরিণত করার বিষয়টি মাথায় রেখেছেন। খবর আরব নিউজের।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ী নেতারা। উপসাগরীয় অঞ্চলে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে সৌদি আরবকে অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক খাত। চীনের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এ খাত থেকে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সৌদি আরবে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫২ মিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আখতার হোসেন অপূর্ব জানিয়েছেন, সৌদি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে টি-শার্ট ও জিনসের মতো পণ্যের। তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘জিসিসি অঞ্চলে, বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’

সৌদি আরবে যেসব ইউরোপীয় বড় ব্র্যান্ডের আউটলেট রয়েছে, তারা বাংলাদেশি পোশাক উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সরাসরি সৌদি বন্দরে পণ্য পাঠানোর অর্ডার দেয়। অপূর্ব বলেন, ‘আমরা পাইকারি ক্রেতাদের কাছে রপ্তানি করি, পরে তারা সৌদি আরবসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করেন। মূলত সৌদি নাগরিকরাই এসব পোশাক কিনছেন।’

সৌদি আরবে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের ৮৪ মিলিয়ন ডলার থেকে অনেক বেশি। তখন করোনা মহামারির কারণে উৎপাদনে ধস নেমেছিল।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের পোশাক রপ্তানির জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। কারণ, সেখানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন।’

রুবেল বলেন, ‘তবে আমাদের লক্ষ্য গ্রাহক কেবল প্রবাসী বাংলাদেশিরা নন, সৌদি নাগরিকরাও। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের পোশাক তৈরি করে, আর সৌদিদের রুচিও ভালো, তারা খরচ করতেও সক্ষম...তারা সাধারণত ইউরোপ ও আমেরিকার নামী ব্র্যান্ডের পোশাক কিনে থাকেন।’

রুবেল মনে করেন, সৌদি বাজারে উচ্চমানের পোশাক ও স্থানীয় বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। ইউরোপ ও আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সময়ের দাবি।’

সৌদি আরবে পোশাক রপ্তানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন