ছবি: সংগৃহীত
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই বড় উত্থান হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এতে ঈদের পর লেনদেন হওয়া সাত কার্যদিবসেই ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশপাশি সবকটি মূল্যসূচকও বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৪টির। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১৭ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসে বাজার মূলধন বাড়ে ১০ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। ফলে ঈদের পর লেনদেন হওয়া ৭ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।
এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ১১১ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১২ শতাংশ। গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ১২৬ দশমিক ৩১ পয়েন্ট। অর্থাৎ ঈদের পর সাত কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২৩৭ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি বেড়েছে ৪৭ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ৫৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট।
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও টানা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে সূচকটি বাড়ে ৩৪ পয়েন্ট।
আরো পড়ুন: আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির অর্থ যোগ হলো, বাড়লো রিজার্ভ
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৮৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেনেটার শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ক্যাপটিক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
এসি/