রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ! *** ভারতের মথ ডাল এ দেশে এসে মুগ ডাল হয়ে যাচ্ছে কেন

বিশ্বের সকল বন্দরে নোঙর করতে পারবে বাংলাদেশি জাহাজ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৬ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো বন্দরে কোনো রকম বিধি-নিষেধ কিংবা ইন্সপেকশন ছাড়াই নোঙর করতে পারবে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সব জাহাজ। বিশেষ করে টোকিও এম ও ইউর সমীক্ষায় আমেরিকা -রাশিয়ার মতো উন্নত দেশকে পেছনে ফেলে গ্রে থেকে হোয়াইট লিস্টে নাম ওঠায় মিলেছে এই সুযোগ।

জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা টোকিও এম ও ইউর সবশেষ তালিকা অনুযায়ী, গ্রে থেকে হোয়াইট লিস্টে নাম উঠেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজগুলোর ওপর ২৫৭টি ইন্সপেকশন করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে এক শতাংশেরও কম নেতিবাচক মার্ক নিয়ে হোয়াইট লিস্টে নাম রয়েছে বাংলাদেশের।

নৌ বাণিজ্য অধিদফতরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশি জাহাজগুলোর মান উন্নত হচ্ছে। ফলে হোয়াইট লিস্টে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে।

এমএসসি শিপিংয়ের হেড অব অপারেশন আজমীর হোসাইন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, জাহাজ গ্রে বা ব্ল্যাক লিস্টে থাকলে অনেক দেশই প্রবেশাধিকার দেয় না। তবে এখন বাংলাদেশের নাম হোয়াইট লিস্টে উঠে আসায় কোনো নিষেধাজ্ঞায় পড়বে না দেশের জাহাজগুলো।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রে

মূলত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চলাচলরত পণ্যবাহী জাহাজের মানের পাশাপাশি সুযোগ-সুবিধা যাচাই শেষে এই তালিকা তৈরি করা হয়। প্রথমেই জাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নিরাপদ নেভিগেশন সিস্টেম এবং দূষণ প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি পরীক্ষা করেই তালিকাতে স্থান দেয় আন্তর্জাতিক এই সংস্থা।

 তালিকা অনুযায়ী, সিয়েরা লিয়ন এবং মঙ্গোলিয়াসহ ৪টি দেশ রয়েছে কালো তালিকায়। আর গ্রে তালিকায় রয়েছে আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস, রাশিয়া, ভারতসহ ১৬ দেশ। এছাড়া সাদা তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও ৩৫টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে।

 চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল গণমাধ্যমকে বলেন,আন্তর্জাতিক আইনকানুন মেনেই দেশের জাহাজ ও বন্দরগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ এই অর্জন।

 সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনে বিশ্বের সব প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিপিং ব্যবসায়ীরা। আর গ্রে থেকে হোয়াইট লিস্টে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশি মালিকানাধীন সবগুলো জাহাজই এখন ভিড়তে পারবে বিশ্বের সব বন্দরে। আর এতে সমৃদ্ধ হবে দেশের সমুদ্র বাণিজ্য-এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

 উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ৯৯টি জাহাজ সমুদ্র বাণিজ্যে পণ্য পরিবহন করছে।

এইচআ/  

বাংলাদেশি জাহাজ নোঙ্গর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250