ছবি : সংগৃহীত
পরিশ্রম কি শুধু বাইরের কাজেই? মোটেও নয় ঘরের কাজেও রয়েছে পরিশ্রম। আপনি ঘরের কাজ করছেন, তাতে আপনার দেহের পেশির নড়াচড়া হচ্ছে, খানিকটা ক্যালরিও পুড়ছে অবশ্যই। শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে ঘরের কাজ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ ঘরের কাজে কমবে ওজন।
কোনো কাজ করে ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই বিবেচনায় রাখতে হবে, তাতে কতটা ক্যালরি পোড়ার সম্ভাবনা আছে। পর্যাপ্ত ক্যালরি না পুড়লে সে কাজে আপনার যতই পরিশ্রম হোক না কেন, ওজন কমবে না।
ঘরের কাজে বেশ পরিশ্রম হলেও অধিকাংশ কাজেই খুব বেশি ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব হয় না। এই যেমন ৫৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তি ৩০ মিনিট রান্না করলে মাত্র ৭৫ ক্যালরি পোড়ে। রান্নাঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য মোটামুটি ভারী কাজ করলে অবশ্য ৩০ মিনিটে ১৮৭ ক্যালরি পোড়ে। ঘণ্টায় ৭ দশমিক ২৪ কিলোমিটার বেগে হাঁটলে ৩০ মিনিটে যে ক্যালরি পোড়ে, এই সংখ্যা কিন্তু তার চেয়েও সামান্য বেশি। কাপড় ধোয়া আর ঘর মোছা নিঃসন্দেহে ভীষণ ভারী কাজ। এসব ক্ষেত্রেও এর কাছাকাছি পরিমাণ ক্যালরিই পোড়ে, বরং আরেকটু বেশি ক্যালরি পোড়ারও সুযোগ থাকে। আর যে ব্যক্তির ওজন যত বেশি, কোনো কাজে তার ক্যালরি পোড়ানোর হারও তত বেশি।
আরো পড়ুন : নিজের মতো করে বাঁচুন
তবে ঘরের কাজকে সহজ করে তোলার নানান অনুষঙ্গ ব্যবহার করলে ক্যালরি পোড়ানোর সম্ভাবনা কিন্তু আরও কমে যায়। তাহলে কি এসব অনুষঙ্গ বাদ দিয়ে কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়াতেই ঘরের কাজ করা উচিত? একদমই না। কারণ, কষ্টসাধ্য উপায়ে ঘরের কাজ করতে করতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগতে হতে পারে। তাই সুযোগ থাকলে সহজ উপায়েই ঘরের কাজ সারা উচিত। আর সহজে কাজ করে যে সময়টা বাঁচে, তা নাহয় ব্যয় করুন ওজন কমানোর উপযোগী কোনো ব্যায়ামের জন্য। তা ছাড়া ঘরেও যে কাজই করবেন, দ্রুততার সঙ্গে করার অভ্যাস করুন। তাতেও খানিকটা বাড়তি ক্যালরি খরচ হবে।
বাগানে শ্রম দিলেও অবশ্য বেশ খানিকটা ক্যালরি পোড়ে। ৫৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের ব্যক্তি ৩০ মিনিটে ১৩৫ ক্যালরি পোড়াতে পারেন বাগানে কাজে করে। তবে এই ক্যালরির হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করতে গেলে খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের রোজকার খাবার থেকে আমরা কতটা ক্যালরি গ্রহণ করছি। আপনি রোজ যা গ্রহণ করছেন, তার চেয়ে বেশি যদি খরচ করতে পারেন, কেবল তখনই আপনার ওজন কমবে। আর এই ওজন কমাটাও অল্প কয়েক দিনে বোঝা যায় না।
এস/আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন