নেপালের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দুক রুইত। ছবি: সেতোপতি
নেপালের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দুক রুইত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তার রোগীদের ছেড়ে মন্ত্রী হতে চান না। নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি কাঠমান্ডুর তিলগঙ্গা চক্ষু ইনস্টিটিউটে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। খবর সেতোপতির।
ধারণা করা হচ্ছে, ডা. সন্দুক রুইতের কাছে তিনি মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে দুজনের আলাপের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কার্কির কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো বিস্তারিত কিছু জানাননি। পরে সাংবাদিকেরা ডা. রুইতের কাছে যান এবং জানতে চান—তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না?
জবাবে রুইত বলেন, ‘এখানে (চক্ষু হাসপাতালে) এত কাজ ফেলে আমি কীভাবে যাব? আমি আমার রোগীদের ছেড়ে যেতে পারব না।’
নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘সেতোপতি’ জানিয়েছে, দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই চার সদস্যবিশিষ্ট একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। এবার তার নেতৃত্বাধীন সরকার ১১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তিনি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন।
ডা. সন্দুক রুইত আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। সাশ্রয়ী ও কার্যকর পদ্ধতিতে ছানি অপসারণ ও চক্ষু চিকিৎসায় বিপ্লব এনেছেন তিনি। তার প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা অনেক বেশি।
তাই তার নামও মন্ত্রিত্বের আলোচনায় এসেছে। তবে রুইত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়ার কাজই তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব, আর সেই দায়িত্ব তিনি কোনোভাবেই ছেড়ে দিতে চান না।
খবরটি শেয়ার করুন