ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের কথা ছিল সেই গেলো বছরের নভেম্বরে। কিন্তু ততদিনে ব্যাপক লড়াই শুরু হয়ে গেছে প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায়। কিছুদিনের মধ্যেই লড়াই থামবে এ আশায় স্থগিত করা হয় দুই চিকিৎসকের বিয়ে। কিন্তু দেখতে দেখতে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও লড়াই থামার নাম নেই। তাই নিজেদের কর্মস্থলেই অনাড়ম্বর বিয়ে সেরে নিয়েছেন তারা।
ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্যালেস্টাইনের ডাক্তার থায়ের দাবাবেশ এবং তার বাগদত্তা আসমা জাবের গাজার শিফা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। আগে থেকেই নভেম্বরে নির্ধারিত ছিল তাদের বিয়ের তারিখ। কিন্তু উভয়ের বাড়িই ধ্বংস হয়ে যায় ইসরায়েলি হামলায়। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের বিয়ে স্থগিত করতে বাধ্য হন তারা।
আরও পড়ুন: রোজা না রেখে বাইরে খাওয়ায় নাইজেরিয়ায় গ্রেফতার ১১
অবশেষে মঙ্গলবার আশ-শিফা হাসপাতালেই অনাড়ম্বরভাবে নিজেদের বিয়ে সেরে নেন এই দুজন। এ সময় তাদের পরনে বাড়তি কোনো সাজ ছিল না। কনে আসমার পরনে ছিল সাধারণ পোশাক, আর বরের গায়ে ছিল মেডিকেল অ্যাপ্রন। বিয়েতে তাদের পরিবারের তেমন কেউ উপস্থিত হতে পারেননি। বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সম্ভবপর ছিল না তাদের পক্ষে। ফলে বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের উপস্থিতিতেই তারা বিয়ের কাজ সারেন।
গত ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহতভাবে গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে। এতে পুরো গাজার জীবনযাপনের ধারাই পাল্টে যায়। দৈনন্দিন সব কাজের চেয়ে নিজেদের জীবন বাঁচানো, হতাহতদের নিয়ে ছোটোছুটি করাই এখন তাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। খাবার-পানি-চিকিৎসার চরম ঘাটতির মধ্যে অনিশ্চিত জীবন কাটছে তাদের। কবে নাগাদ এ যুদ্ধ শেষ হবে, এ পরিস্থিতি পাল্টাবে- এর জবাব নেই কারো কাছেই। ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী এখন চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন