ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত নির্মাতা পার্ক চ্যান-উকের ‘নো আদার চয়েজ’ সিনেমা দিয়ে আজ বুধবার (১৭ই সেপ্টেম্বর) থেকে পর্দা উঠছে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। ৩০তম এ আসরে মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কোনো সিনেমা না থাকলে দেশ থেকে বিভিন্ন শাখায় ও ফিল্ম বাজারে প্রতিনিধিত্ব করছে তিন সিনেমা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি।
এ ছাড়া বুসান উৎসবে প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রবর্তন করা হয়েছে ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’।
বুসান উৎসবে এশিয়ার আলোচিত সিনেমা দিয়ে প্রতিবছর সাজানো হয় ‘আ উইন্ডো অন এশিয়ান’ সিনেমা বিভাগ। এ বিভাগে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা বালুর নগরীতে।
এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা মেহেদী হাসান। এটা তার ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা। এটি এ বছর ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কার্লোভি ভেরি থেকে প্রক্সিমা প্রতিযোগিতা শাখায় ‘গ্র্যান্ড প্রিক্স’ পুরস্কার পেয়েছে।
এ উৎসবে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে (এপিএম) চলবে ২০শে থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এপিএম এ ৩০ প্রজেক্টের মধ্যে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশের দুটি সিনেমার চিত্রনাট্য। দুই বছর আগে বুসান উৎসবের অফিশিয়াল শাখা নিউ কারেন্টস পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশের সিনেমা ‘আগন্তুক’। এটি পরিচালনা করেছেন বিপ্লব সরকার।
এবার তিনি বুসানের প্রজেক্ট মার্কেটে যাচ্ছেন দ্য ম্যাজিক্যাল মেন সিনেমা নিয়ে। এ ছাড়া মির্জা শবনম ফেরদৌসী পরিচালিত সিনেমা সাইলেন্স অব দ্য লুমস প্রজেক্ট মার্কেটে জায়গা পেয়েছে। সিনেমাগুলো গল্প নিয়ে এখনই নির্মাতারা তেমন কিছু বলতে চান না।
এদিকে এবারের আয়োজনে ভিন্ন রয়েছে আরেক পরিচালক আবু শাহেদ ইমনের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। ২০১২ সালে ক্যারিয়ারে প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করেন তিনি। সেই স্বল্পদৈর্ঘ্য দ্য কনটেইনার কোরিয়ার বুসান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (বিআইএফএফ বা বিফ) এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা করে নেয়।
১৩ বছর আগের সেই স্বল্পদৈর্ঘ্য দিয়ে আবার বুসান উৎসব যাচ্ছেন এই পরিচালক। তার স্বল্পদৈর্ঘ্যটি কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আর্টস থেকে উৎসবে অংশ নিচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমন। বিশ্ববিদ্যালয়টিও উৎসবের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর উদ্যাপন করছে।
প্রথমবারের মতো বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রবর্তন করা হয়েছে ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’। উৎসবের ৩০তম আসরে ভিশন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে পুরস্কারটি দেওয়া হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ভিশন এশিয়া’ বিভাগে অংশ নেওয়া ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিকে পুরস্কারটি দেওয়া হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, বাক্স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার অথবা অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াইকে উপজীব্য করে নির্মিত চলচ্চিত্রকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। ২৬শে সেপ্টেম্বর শেষ হবে এ উৎসব। সেদিনই জানা যাবে, কোন সিনেমা পুরস্কারটি পেয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন