ছবি : সংগৃহীত
বাঙালিকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, ভাত না হলে চলবে না। আর তাই ভাত নিয়ে মনে প্রশ্নের শেষ নেই। অনেকেই জানতে চান, ঠান্ডা নাকি গরম ভাত, কোনটি খেলে বেশি উপকার মিলবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এসম্পর্কে পুষ্টিবিদরা যা বলেন-
এনার্জির ভাণ্ডার ভাত
কার্বের ভাণ্ডার ভাতকে বলা হয় কার্বের ভাণ্ডার। এই উপাদান এনার্জির ঘাটতি মিটিয়ে দেয়। তাই ডায়েটে ভাত রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। ভাতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজের মতো অত্যাধিক জরুরি উপাদান। তাই শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে ভাতের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
গরম নাকি ঠান্ডা ভাত— কোনটি বেশি উপকারি?
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত গরম অবস্থায় খাওয়ার থেকে ঠান্ডা করে খাওয়া অনেক বেশি উপকারী। এতে ভাতে রেজিস্টেন্স স্টার্চের পরিমাণ বাড়ে। এই উপাদানটি সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা রোজ রোজ গরম ভাত খাওয়ার পরিবর্তে ভাত ঠান্ডা করে খান। এতেই উপকার পাবেন।
আরো পড়ুন : সজনে ডাঁটার গুণাগুণ জানলে অবাক হবেন
এছাড়া গবেষণা অনুযায়ী, ঠান্ডা ভাতে মজুত রেজিস্টেন্স স্টার্চ কোলোনে প্রিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে। ফলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো জটিল অসুখ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
এখানেই শেষ নয়, ঠান্ডা ভাতে উপস্থিত ফাইবারের গুণে হাই কোলেস্টেরলের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। তাই হাইপারলিপিডিমিয়ায় ভুক্তভোগীরা নিয়ম করে ঠান্ডা ভাত খান।
পেটের জন্য উপকারি পান্তা ভাত
ফারমেন্টেড প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় পান্তা ভাত। এই ভাত খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বৈকি। পান্তা ভাত খেলে তাই গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে একাধিক পেটের সমস্যাকে অনায়াসে বশে রাখা সম্ভব হবে। তবে পান্তাভাতে কাঁচা লবণ বা তেল মেশাবেন না। এই ভুলটা করলে কোনো উপকার তো পাবেনই না, বরং একাধিক সমস্যায় পড়তে পারেন।
দিনে কতটুকু ভাত খাওয়া যাবে?
পুষ্টিবিদদের মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তি দিনে ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম ভাত খেতেই পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। ডায়াবেটিস থাকলে বা ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে একবার ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতোই ভাত খান। নয়ত সুগার ও ওজন দুটোই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
এস/ আই. কে. জে/