চীনের পতাকা
সম্প্রতি চীনের অর্থনীতি নিয়ে কিছু তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা যায় যে, চীন তার অর্থনীতি নিয়ে বেশ চাপের মধ্যেই আছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আরও সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।
জুলাইয়ে অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগেই, কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অপ্রত্যাশিতভাবে মূল সুদের হার অনেকাংশে কেটে নেয়।
ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (এনবিএস) এর প্রকাশিত মঙ্গলবারের (১৬ আগস্ট) রিপোর্টে দেখা যায়, শিল্প উৎপাদন ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে চীন অনেকটাই পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এখন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাছাড়া জুন মাসে চীনে বেকারত্বের হার ছিল ২১.৩%, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এখন সবক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। বর্তমানে চীনের অর্থনীতি নিম্নগামী এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ চীনা প্রবৃদ্ধির নেতিবাচক ঝুঁকি দেখলেও তবে তারা মন্দা আশা করেন নি।
তবে শিল্প উৎপাদন এক বছর আগের তুলনায় ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনের প্রধান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে মুদ্রার দ্রুত পতন রোধে মার্কিন ডলার বিক্রি করতে এবং ইউয়ান কিনতে দেখা গেছে।
হোয়াবাও ট্রাস্টের একজন অর্থনীতিবিদ নি ওয়েন আশা করেন যে, বিশেষ বন্ড জরুরিভাবে চালু করা হবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট রেশিও কমানোর সম্ভাবনাও তুলনামূলকভাবে বেশি। গত মাসে নীতিনির্ধারকেরা স্বয়ংক্রিয় এবং গৃহ সরঞ্জামের ব্যবহার বাড়ানো থেকে, বেসরকারী খাতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
সম্পতি এই খাতে ধ্বস, স্থানীয় সরকারের ঋণের চাপ বৃদ্ধি, যুবকদের বেকারত্ব সবকিছু চীনের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পথে বিরাট বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে প্রথম সাত মাসে, চীনে স্থির সম্পদ বিনিয়োগের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পত্তি খাতে বিনিয়োগ ৮.৫% হ্রাস পেয়েছে। দেশব্যাপী জরিপ-ভিত্তিক বেকারত্বের হার জুনে ৫.২% থেকে সামান্য বেড়ে ৫.৩% হয়েছে। ওইসিডি সদস্যদের মধ্যে, গড় বেকারত্বের হার ৪.৮%।
এসকে/